চীনের পারমাণবিক জ্বালানির চিন্তা ঘুচল
৩ জানুয়ারি ২০১১চীনের জাতীয় পারমাণবিক প্রতিষ্ঠান এই নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে৷ এবং এর যে প্রয়োজন ছিল, জ্বালানি ক্ষেত্রে চীনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়৷ জ্বালানি ক্ষেত্রে চীনের দু'টি মূল লক্ষ্য হল কয়লা এবং খনিজ তেলের বিকল্প জ্বালানির অংশ বৃদ্ধি করা, এবং দ্বিতীয়ত, জ্বালানি সংস্থানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা অর্জন করা৷ এর সঙ্গে অবশ্যই কার্বন নির্গমন হ্রাসের প্রশ্নটি যুক্ত৷ বর্তমানে চীনের জ্বালানি শক্তির শতকরা ৭০ ভাগই আসে কয়লা থেকে৷
যে কারণে চীন পরমাণু শক্তিতে বিনিয়োগের উপর আরো বেশী জোর দিয়েছে৷ সময়ের হিসেবে দেখলে, চীন ২০২০ সালের মধ্যে তার জ্বালানি উৎপাদনের অন্তত পাঁচ শতাংশ পরমাণু শক্তি থেকে আনতে চায়৷ এজন্য পরমাণু শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ গিগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৭০ কি ৮০ গিগাওয়াট করা হয়েছে৷
চীনের যা ইউরেনিয়াম খনিজ সম্পদ আছে তা'তে ৫০ থেকে ৭০ বছর চলে যাবে৷ ইউরেনিয়ামের বাৎসরিক উৎপাদন এখন ৭৫০ টন কিংবা তার কাছাকাছি৷ কিন্তু ২০২০ সালের মধ্যে বাৎসরিক চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ২০,০০০ টনে - জানাচ্ছে ‘চায়না ডেইলি' পত্রিকা৷ ওদিকে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি যদি পুনরায় কাজে লাগানো যায়, তা'হলে আগামী ৩,০০০ বছর ও' নিয়ে চীনের কোনো সমস্যা থাকবে না, অন্তত সিসিটিভি'র তা'ই দাবী৷৷
অতোদূর না ভেবেও বলা যেতে পারে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জ্বালানি ক্ষুধার পরিপ্রেক্ষিতে এটা একটা সুখবর বৈকি৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ