1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিলির ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩০০-র বেশী

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

১৯০০ সাল যাবৎ বিশ্বের বৃহত্তম ভূমিকম্প, রিশটার মানদণ্ডে ৮.৮ শক্তির৷ তার সৃষ্ট সুনামি অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে, বিপদ সঙ্কেত তুলেছে জাপান এবং রাশিয়ার উপকুলে৷

https://p.dw.com/p/MEAe
সম্ভাব্য সুনামি যে পথে যাবে বলে আশঙ্কা ছিলছবি: AP

ভূমিকম্পের পর মধ্য চিলি'র একটি ব্যাপক অংশে একই দৃশ্য: কিছু বাড়িতে আগুন ধরে গেছে, ব্রিজ ভেঙে পড়েছে, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে রাস্তা আটকে গেছে৷ চিলির যে বড় শহরটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দুর সবচেয়ে কাছে, সেটি হল কনসেপসিয়ন৷ সেখানে একটি ১৫ তলা বাড়ি ধসে পড়েছে৷ রাজধানী সান্টিয়াগো'তে কংক্রীটের তৈরী ওভারপাস ধসে পড়ে গাড়ি চাপা দিয়েছে৷ বহু টেলিফোন এবং পাওয়ার লাইন বিচ্ছিন্ন৷ কিন্তু এ'সব সত্ত্বেও ভূমিকম্পে নিহতদের সংখ্যা কমই বলতে হয় - যদিও এই ভূমিকম্পের বিধ্বংসী ক্ষমতা ছিল হাইতির ভূমিকম্পের চেয়ে কয়েকগুণ বেশী৷

Erdbeben Chile
চিলির টালকা’য় বাড়ির ধ্বংসস্তূপছবি: AP

হতাহত এবং নিহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হওয়ার একটা কারণ হল চিলি দক্ষিণ আমেরিকার সমৃদ্ধতম দেশগুলির মধ্যে গণ্য এবং বিশেষ করে বিশ্বের পয়লা নম্বর তামা রপ্তানিকারক দেশ৷ দ্বিতীয়ত, চিলির মানুষরা ভূকম্পনে অভ্যস্ত, সেখানে বাড়িঘর তৈরীর মানও সেই অনুপাতে উঁচু৷ - কনসেপসিয়নের ১১৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্রগর্ভে এই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়৷ তবুও তার ফলে দু'টি তেল পরিশোধনাগার এবং দু'টি মুখ্য তামার খনিতে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে৷ ১৫ লক্ষ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷

আসা যাক ভূমিকম্প-সৃষ্ট সুনামির কথায়৷ একটি বড় ঢেউ এসে আছড়ে পড়েছে চিলি'র হুয়ান ফের্নান্দেজ দ্বীপপুঞ্জে - যেখানে স্কটিশ নাবিক আলেক্সান্ডার সেলকার্ক অষ্টাদশ শতাব্দীতে আটকা পড়েছিলেন, এবং সেই সেলকার্কের কাহিনী থেকে পরে রবিনসন ক্রুসোর কল্পনার জন্ম হয়েছিল৷ এখানে এই সুনামিতে তিনজন মানুষের মৃত্যু এবং আরো চারজনের নিখোঁজ হবার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের উৎস গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জেও বড় বড় ঢেউ দেখা গেছে৷ পাথরের সুবিশাল মোয়াই স্ট্যাচুগুলির জন্য বিখ্যাত ঈস্টার আইল্যান্ডস'ও পার পায়নি৷

Leguane auf den GALAPAGOSinseln
ডারউইনের গালাপাগোস’ও পার পেলছবি: picture-alliance / maxppp

এই সুদূরপ্রসারী সুনামির ঢেউ নিউজিল্যান্ডের উপকুল এবং অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার উপকুলে জল বাড়ায়৷ হাওয়াই’তে ঢেউ-এর উচ্চতা মাত্র এক মিটার বাড়ার পর সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়৷ তবে জাপান তার উত্তর উপকুলে তিন মিটার উঁচু সুনামির আশঙ্কা করছে এবং ফিলিপিনও তার ১৯টি প্রদেশের উপকুলবাসীদের উঁচু জায়গায় যেতে বলেছে৷ তবে সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে যে, এবারকার সুনামি মোটামুটি আতঙ্কের পর্যায়েই থাকবে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক