1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চার মাস পর সিডনির লকডাউন শিথিল

১১ অক্টোবর ২০২১

করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস টানা লকডাউন থাকার পর খুলে দেওয়া হলো সিডনির পাবলিক প্লেস৷ তবে শুধু সম্পূর্ণ টিকাধারীদের জন্যই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/41Wbt
Australien Sydney Ende Lockdown
ছবি: REUTERS

করোনা সংক্রমণের হার কমে আসায় এবং শতকরা ৭০ ভাগ লোক পুরোপুরো টিকার আওতায় আসার পর সোমবার থেকে সিডনির বার, রেস্টুরেন্ট, ব্যায়ামাগার ও অফিস-আদালত অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের পাবলিক প্লেস খুলে দেওয়া হয়েছে৷

সবকিছু খুলে দেওয়ায় আনন্দিত সিডনিবাসী উপলক্ষ্য উদযাপন করতে রাস্তায় নেমে এসেছেন৷

সোমবার রাত ১২টা এক মিনিটে শহরের বেশ কিছু রেস্তোঁরা বেশ জমজমাট দেখা গেছে৷ উৎসব উদপযাপনের মতো করে সেসসব রেস্তোঁরায় স্থানীয়দের ভিড় করতে দেখা গেছে৷      

গত জুন মাসে সিডনিতে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কঠোর লকডাউন আরোপ করেছিল কর্তৃপক্ষ৷

উদযাপন সতর্কতা

লকডাউনের কারণে যে ৫০ লাখ লোকের সিডনি শহরের জীবন-যাপন নিরানন্দ হয়ে ওঠেছিল তা আঁচ করা গেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও৷

স্কট মরিসন বলেন, ‘‘লকডাউন তুলে দেওয়ার এ মুহূর্তটি পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে উপভোগ করুন৷ অনেকেই আজকের এ দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন৷ আমরা এ দিনটি উদযাপন করব৷''

এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রধান ডমিনিক পেরোটেট  এ দিনটিকে ‘স্বাধীনতার দিন' বলে উল্লেখ করেন৷

অবশ্য ডমিনিক কিন্তু জনগণকে সতর্ক করতে ভুলেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে৷ তা না হলে সংক্রমণ আবারো বাড়তে পারে৷''

‘‘এখনো কিছু সীমাবদ্ধতা আছে৷ লকডাউন আসলে সবার জন্য তুলে দেওয়া হয়নি৷ আস্তে আস্তে সব কিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে৷ পরস্পরের সহযোগিতায় আমরা সবকিছুই স্বাভাবিক করতে পারব এবং সবাইকে নিরাপদ রাখতে পারব৷''   

করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে কঠোর লকডাউন চলছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে৷ বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ৷

এমন কঠোর পদক্ষেপের ফলে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম বলে দাবি করছেন কেউ কেউ৷

এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার  পাঁচশ৷ আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার চারশ ৪০ জন মারা গেছেন৷

আরআর/কেএম (রয়টার্স, এপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য