1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে ট্রাম্পের নতি স্বীকার

২১ জুন ২০১৮

মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীদের গ্রেপ্তার করে তাদের সন্তানদের আলাদা রাখার নীতি আপাতত বন্ধ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ তা সত্ত্বেও আটক শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে৷ কংগ্রেসে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ চলছে৷

https://p.dw.com/p/2zzXp
ছবি: picture-alliance/dpa/Abac Press/O.Douliery

প্রবল চাপের মুখে অবশেষে নতি স্বীকার করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থীদের শিশুদের আলাদা করে রাখার চরম বিতর্কিত নীতি বন্ধ করলেন তিনি৷ অথচ তার আগে পর্যন্ত ট্রাম্প এই পরিস্থিতির জন্য নিজে কোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ছিলেন না৷ মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণসহ অভিবাসন সংক্রান্ত তাঁর নীতির পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য উলটে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের উপর দায় চাপিয়ে যাচ্ছিলেন ট্রাম্প৷ অন্যদিকে তাঁর প্রশাসনের অনেক সদস্য নানা যুক্তি তুলে ধরে এই নীতির পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন৷ তাছাড়া শিশুদের প্রশ্নে নমনীয়তা দেখালেও ট্রাম্প অভিবাসনের প্রশ্নে গত ১০ সপ্তাহ ধরে চলে আসা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ত্যাগ করতে প্রস্তুত নন৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, সীমান্তে কড়াকড়ি মোটেই বন্ধ করা হচ্ছে না৷

কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে খাঁচার মধ্যে নানা বয়সের শিশু-কিশোরদের ছবি ও ভিডিও অ্যামেরিকার অনেক মানুষকে উদ্বেলিত করেছে৷ পোপ ও বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই নীতির তীব্র নিন্দা করেছেন৷ এমনকি রিপাবলিকান দল ও ট্রাম্প সমর্থকদের একাংশও এমন অবস্থা সম্পর্কে চরম অস্বস্তি প্রকাশ করেছে৷ ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াও তাঁর স্বামীর উদ্দেশ্যে কিছু একটা করার আর্জি জানিয়েছিলেন৷ ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, যে তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ও কন্যা তথা উপদেষ্টা ইভানকা এ বিষয়ে তাঁদের অনুভূতি জানিয়েছেন৷

প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ সত্ত্বেও আইনি চ্যালেঞ্জ থেকে রেহাই পাচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন৷ আদালত এর মধ্যেই ‘ফ্লোরেস সেটেলমেন্ট’ নামের প্রচলিত নীতির উপর এক স্থগিতাদেশ জারি করেছে৷ এর আওতায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোরদের আটক রাখার মেয়াদ ২০ দিন সীমিত রাখা হয়েছে৷ ফলে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় এই নীতির ক্ষেত্রে রদবদল নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে৷

তাছাড়া ট্রাম্প-এর পদক্ষেপ সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতি কত দ্রুত বদলাবে, তাও স্পষ্ট নয়৷ যে সব শিশু-কিশোরকে আগেই তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, তারা কবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবে, তাও স্পষ্ট নয়৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে৷ পরিবারের সদস্যরা কারাবন্দি থাকলে শিশুদের কীভাবে সেখানে রাখা সম্ভব, তা নিয়েও কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা শুরু হয়েছে৷ উল্লেখ্য, সরকারি সূত্র অনুযায়ী ৫ই মে থেকে ৯ই জুনের মধ্যে ২,৩৪২ জন শিশুকে তাদের বাবা-মার কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছে৷

অভিবাসন রুখতে সীমান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া নীতির প্রশ্নে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল আপোষ করতে প্রস্তুত নয়৷ বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে ব্যয়বহুল প্রাচীর নির্মাণের প্রস্তাবের ঘোরতর বিরোধী তারা৷ অথচ সংসদে অভিবাসন সংক্রান্ত সামগ্রিক আইন ছাড়া বর্তমান অচলাবস্থা কাটানো কঠিন হবে৷ দুই দলই সীমান্তে বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে আইনের খসড়া পেশ করেছে৷ তবে তার কোনোটি যথেষ্ট সমর্থন পাবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)