চাঁদের সাতটি মজার তথ্য
পঞ্চাশ বছর আগে চাঁদে যাওয়ার পর থেকে তা নিয়ে বেরিয়ে এসেছে বহু মজার তথ্য৷ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ সম্পর্কে এমন সাত তথ্য জেনে নিন ছবিঘরে৷
ছোটো হয়ে যাচ্ছে চাঁদ!
নাসার গবেষণা বলছে, ক্রমান্বয়ে উত্তাপ হারাচ্ছে চাঁদ৷ এ কারণে চাঁদের উপরিভাগ আঙ্গুর থেকে কিশমিশের রূপ ধারণ করছে৷ শুধু তাই নয়, চাঁদের ভেতরের অংশও সঙ্কুচিত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে৷ কয়েক লাখ বছর ধরে এটি দাঁড়িয়েছে ৫০ মিটারে৷
কীভাবে উড়েছিল অ্যামেরিকার পতাকা?
ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকরা বলে থাকেন, চাঁদে পা রাখার ঘটনা ছিল ভুয়া৷ চাঁদের পরে কোনো একটি মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন নাইল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন৷ কারণ, অলড্রিনের রাখা অ্যামেরিকার পতাকা উড়তেছিল, অথচ মহাশূন্যে তা উড়ার কথা না৷ তবে, পতাকা ওড়ার কারণ হিসাবে নাসা বলছে, বাজ অলড্রিন পতাকার দণ্ড নাড়ানোয় অমন দেখা গিয়েছিল৷
চরম গরম, হঠাৎ ঠাণ্ডা
তাপমাত্রার উঠানামায় আমাদের নাভিশ্বাস উঠে, তা ঠিক৷ কিন্তু এই উঠানামা চাঁদের তুলনায় কিছু্ই না৷ কারণ, চাঁদের গায়ে যখন সূর্যের তাপ পড়ে, তখন এর তাপমাত্রা ১২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে৷ আবার সূর্যের আলো সরলেই মাইনাস ১৫৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায় তাপমাত্রা৷
চাঁদের বুড়ি
চাঁদের বয়স যত, চাঁদে মানুষ বা বুড়ি আছে এমন রূপকতার বয়সও তত৷ অনেকেই পূর্ণ চন্দ্রের মধ্যে একজন মানুষের মুখ দেখতে পান৷ অনেকে বলেন, পাপ করার কারণে ওই ব্যক্তিকে গ্রাস করেছে চাঁদ৷ চাঁদের বুড়ির গল্পতো কতো শুনতে হয় আমাদের! আর যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে, বাংলাদেশে এমন গুজব রটার বয়সওতো বেশিদিন হয়নি৷
দূরে সরে যায় চাঁদ
প্রতিবছর চার সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায় চাঁদ৷ দূরে সরে গেলে আমাদের কাছে সেটাকে ছোটো দেখায়৷ এভাবে ৫৫০ মিলিয়ন বছর পরে এটাকে সবচেয়ে ছোটো দেখা যাবে৷ এরপর আর কোনো পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে না৷
চাঁদকে পরোয়া করে না নেকড়ে
সিনেমার দৃশ্যের কথা মনে পড়ে? যেখানে চাঁদের দিকে নেকড়ের ভীতিকর গর্জনে শেষ হয় হরর সিনেমা৷ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পূর্ণ জোৎস্না হলেও নেকড়ের কিছু যায় আসে না৷ এমনকি তারা সেদিকে তাকিয়ে গর্জনও দেয় না৷ তবে, রাতে নেকডের গর্জনের কারণে আমাদের পূর্বপুরুষরা দুটোর সংযোগ ঘটিয়েছেন হয়ত৷
চন্দ্রারোহী সবাই অ্যামেরিকান পুরুষ
এখন পর্যন্ত ১২ জন মানুষ চাঁদে হেঁটেছেন৷ নানান পেশা থেকে আসলেও কিছু ক্ষেত্রে মিল রয়েছে তাঁদের৷ মিলগুলো হচ্ছে- তারা সবাই অ্যামেরিকান, সবাই সাদা এবং সবাই পুরুষ৷ অ্যামেরিকানের বাইরে কিংবা নারীদের চাঁদে যাওয়ার জন্য আরো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে বোধহয়৷