1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলে গেলেন বনি এম তারকা ববি ফ্যারেল

৩০ ডিসেম্বর ২০১০

সত্তর দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ড বনি এম৷ রিভার্স অফ ব্যাবিলন, রাসপুটিন আর ব্রাউন গার্ল ইন দ্যা রিং -এর মত জনপ্রিয় গান আমাদের উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি৷ গানের সঙ্গে ছিল গায়ক ববি ফ্যারেলের উন্মত্ত পাগল করা নাচ৷

https://p.dw.com/p/zrkk
ব্যান্ডের সহর্মীদের সঙ্গে ববি ফ্যরেলছবি: Picture-Alliance / Photoshot

সেই ববি ফারেল মারা গেলেন ৬১ বছর বয়সে৷ রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের এম্বাসেডর হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার করা হয় ববি ফ্যারেলের মৃতদেহ৷ কীভাবে তিনি মারা গেছেন তা জানা যায়নি৷ মৃত্যুর আগের দিন তিনি একটি কনসার্টে গান করেছিলেন৷

নেদারল্যান্ডসের হিমস্টেড থেকে ববি ফ্যারেলের এজেন্ট জন সেইন রয়টার্সকে টেলিফোনে জানান, আগের রাতে একটি শোতে ববি পারফর্ম করেন৷ আর সকালেই তাঁর হোটেল রুমের বেড থেকে উদ্ধার করা হয় ববির লাশ৷ তিনি আরো জানান, ববি ফ্যারেল রাতে ‘সুস্থ বোধ করছি না' এমন কিছু বলেছিলেন কিন্তু তারপরেও শো করেন৷ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে সেই অভিযোগও করেছিলেন ববি ফারেল৷ গত এক দশক ধরে শারীরিক বিভিন্ন ধরণের অসুস্থতায় তিনি ভুগছিলেন৷

সেন্ট পিটার্সবার্গের তদন্ত কমিটির প্রতিনিধি সের্গেই কাপিতানভ জানিয়ছেন, মৃত্যু কারণ আমরা জানি না৷ তবে আঘাতের ফলে যে মৃত্যু হয়নি সে কথা আমরা জানিয়ে দিয়েছি৷ তদন্ত চলছে৷ বনি এম জনপ্রিয় ছিল ববির উন্মত্ত নাচের জন্য৷ স্টেজে গান গওয়ার সময় তিনি দাপিয়ে বেড়াতেন৷

Flash-Galerie Deutsche Bands Weltrang Boney M
এভাবেই সত্তর দশক মাতিয়েছে বন এমছবি: picture alliance / dpa

ডাচ গায়ক ববি ফ্যারেলের জন্ম ক্যারিবিয়ান দ্বীপ আরুবায়৷ বনি এম ব্যান্ডের একমাত্র পুরুষ সদস্য ছিলেন ববি৷ ডিস্কো ব্যান্ড সেই সময় ছিল হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি৷ বনি এম আর এ্যাবা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম৷ ‘বেলফাস্ট', ‘মা বেকার', ‘রাসপুটিন' গানগুলো ব্যান্ডটিকে এনে দিয়েছিল গোল্ড এবং প্লাটিনাম ডিস্ক৷

ববি ফ্যারেল এবং বনি এমকে আমরা কীভাবে মনে রাখবো? কীভাবে স্টেজে আসতেন আলফনসো ফ্যারেল অর্থাৎ ববি ফারেল? প্রায় সময়ই তাঁর পরনের শার্টটি খোলা থাকতো৷ বুক দেখা যেত৷ স্কিন টাইট বেল বটম প্যান্ট পরতেন তিনি৷ পোশাকে সবসময়ই ঝকমকে একটা ভাব থাকতো – তাতে সোনালি, রূপালি ছটা৷ আর ববি ফ্যারেলের ছিল মাথা ভর্তি এক ঝাঁক কালো কোঁকড়া চুল৷ সারাক্ষণ চরকির মত ঘুরছেন, মাথা ঝাঁকাচ্ছেন আর লাফিয়ে বেড়াচ্ছেন৷ ‘রাসপুটিন' গানের শেষ দৃশ্যে তিনি একেবারে মৃতদেহের মত লুটিয়ে পড়েন স্টেজে৷

১৯৮৬ সালে বনি এম ব্যান্ডটি ভেঙে যাওয়ার পরও ববি ফ্যারেল গানের জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি৷ তাঁর নাচে-গানে সবসময়ই ক্যারিবিয় সংস্কৃতির সুস্পষ্ট উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে৷

ববি ফ্যারেল তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইটে লিখেছেন, আমি চাই আমার গান মানুষদের আনন্দ দিক, মিষ্টি-মধুর স্মৃতি হয়ে আমার গান তাদের মধ্যে বেঁচে থাকুক৷ আমার গানে উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং উন্মাদনার কমতি নেই৷ আমি সংগীত দিয়ে বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে বিনোদনের আনন্দ দিতে চাই৷ আমার ভেতরের আবেগ, অনুভূতি আমি গানের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করতে চাই৷ সংগীতের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকতে চাই আমি৷

এ বছর বেশ কয়েকটি দেশে ট্যুরে বের হন ববি ফারেল৷ তার মধ্যে ছিল নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, নিউ ইয়র্ক, কলম্বিয়া, ফিনল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়া৷

৩১শে ডিসেম্বর, নিউ ইয়ার্স ইভে ববি ফারেলের একটি কনসার্ট করার কথা ছিল ইটালিতে৷ তা আর হলো না৷ তিনি রেখে গেছেন একটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তান৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক