চলে গেলেন দিলীপ কুমার, বলিউডের একটা যুগের অবসান
বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমার প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বয়সজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।
পেশোয়ারে জন্ম
দিলীপ কুমারের জন্ম বর্তমানে পাকিস্তানের পেশোয়ারে। পরে তিনি চলে আসেন মহারাষ্ট্রের নাসিকে। সেখান থেকে পুনে হয়ে মুম্বই। ১৯৪৩ সালে তিনি বম্বে টকিজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। মাসে এক হাজার ২৫০ টাকা পেতেন। প্রথমে গল্প লেখা ও স্ক্রিপ্ট লেখায় সাহায্য করতেন। তারপর অভিনয়।
বলিউডের প্রথম খান
তার আসল নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। অভিনয়ের সময় নাম বদল করে রেখেছিলেন দিলীপ কুমার। এখন বলিউড কাঁপাচ্ছেন তিন খান, শাহরুখ, সলমন, আমির। কিন্তু দিলীপ কুমারই ছিলেন প্রথম খান, যিনি দীর্ঘদিন বলিউড শাসন করেছেন।
মূল শক্তি
দিলীপ কুমারের মূল শক্তি ছিল তার অভিনয় দক্ষতা। নাটকীয় অভিনয় নয়, একেবারেই আধুনিক সিনেম্যাটিক অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ের সম্রাট হয়েছিলেন তিনি। অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন।বহুবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও দাদাসাহেব ফালকে, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মান পয়েছেন তিনি। উপরের ছবিতে রাজেশ খান্নার সঙ্গে দিলীপ কুমার।
মুঘল-এ-আজম
দিলীপ কুমারকে খ্যাতির চূড়ায় নিয়ে যায় মুঘল-এ-আজম। দিলীপ কুমার, মধুবালা, পৃথ্বীরাজ কাপুর অভিনীত এই ছবি মুক্তি পায় ১৯৬০ সালে। তারপর তা সেই সময়ের বক্স অফিসের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দেয়। এই সিনেমা শুধু হিন্দি ছবির জগতে একটা মাইলফলক তাই নয়, দিলীপ কুমারের অভিনয় জীবনেরও বড় সাফল্য। এছাড়াও দেবদাস, মধুমতী, রাম আউর শ্যাম সহ অনেক হিট ছবি করেছেন তিনি।
একের পর এক হিট
দিলীপ কুমার ১৯৭৬ থেকে পাঁচ বছর সিনেমা করেননি। তারপর ফিরে এসে করলেন সুপারহিট ক্রান্তি। এরপর শক্তি, মশাল, কর্মা, সওদাগর। তার শেষ সিনেমা ১৯৯৮ সালে কিলা। সবগুলোই হিট।
সায়রাবানুর সঙ্গে বিয়ে
মধুবালার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকলেও দিলীপ কুমার বিয়ে করেছিলেন সায়রা বানুকে। ১৯৬৬ সালে। শেষ দিন পর্যন্ত সেই মধুর সম্পর্ক অটুট থেকেছে। মৃত্যুকালেও পাশে ছিলেন সায়রা বানু।
যুগাবসান
কিছুদিন ধরেই তার শরীর ভাল যাচ্ছিল না। বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার ভোরে তিনি মারা যান। তার সঙ্গে শেষ হলো বলিউডের এক গৌরবময় যুগ।