গ্রেট ব্যারিয়ার রাজনীতি
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে 'আশঙ্কাজনক' ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। অস্ট্রেলিয়ার আঙুল চীনের দিকে। অভিযোগ অস্বীকার চীনের।
ওয়ার্লড হেরিটেজ
অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে ১৯৮১ সালে ওয়ার্লড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। তারপর থেকে হাজার হাজার পর্যটক এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে অস্ট্রেলিয়ায় যান।
ইন ডেঞ্জার
সম্প্রতি ইউনেস্কোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ওয়ার্লড হেরিটেজের স্টেটাস সরিয়ে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে ইন ডেঞ্জার বা আশঙ্কাজনক হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া
ইউনেস্কোর এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বক্তব্য, রাজনীতি করে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের সম্মানহানি ঘটানো হচ্ছে।
ইউনেস্কোর বক্তব্য
ইউনেস্কোর বক্তব্য, দূষণের ফলে ক্ষতি হয়েছে রিফের। অর্থাৎ, কোরাল-ক্ষেত্রের। অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রসৈকতে প্রায় তিন লাখ ৪৮ হাজার স্কোয়্যার কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই কোরালক্ষেত্র বা গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। আয়তনে যা ইটালির চেয়েও বড়।
অস্ট্রেলিয়ার বক্তব্য
অস্ট্রেলিয়ার বক্তব্য, দূষণ নয়, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ক্ষতি হয়েছে রিফের। তার জন্য অস্ট্রেলিয়া দায়ী নয়। অস্ট্রেলিয়া এবং রিফ রাজনীতির স্বীকার হচ্ছে।
চীনের প্রতিক্রিয়া
নাম না করলেও অস্ট্রেলিয়ার আঙুল ছিল চীনের দিকে। কারণ রিফকে ইন ডেঞ্জার ঘোষণার পিছনে চীনের বড় ভূমিকা ছিল। চীন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। চীনের বক্তব্য, বিশেষজ্ঞ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পাল্টা
অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন দেশের একটি প্রতিনিধি দলকে গ্রেট ব্যারিয়ারে আহ্বান জানিয়েছেন। জলের তলায় গিয়ে তারা রিফ দেখতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি
রিফ ইন ডেঞ্জার হয়ে গেলে আর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থাকবে না। প্রতি বছর শুধু রিফের পর্যটন থেকে অস্ট্রেলিয়া চার দশমিক আট বিলিয়ন ডলার আয় করে। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে দর্শক কমে যেতে পারে।
চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক
গত কয়েকবছরে চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, অ্যামেরিকা, জাপান এবং ভারত চীনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্লক গঠন করেছে।