গ্রিসে শরণার্থীদের কান্না, প্রতিবাদ
গ্রিসের মোরিয়া শিবিরআগুনে প্রায় পুড়ে যাওয়ায় রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থীরা৷ নেই পর্যাপ্ত খাবার আর পানি৷ ছবিঘরে থাকছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরের মানুষগুলোর আর্তনাদের কথা...
খোলা আকাশের নীচে
গ্রিসের মোরিয়া ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির৷ সেখানে ১২ হাজারেরও বেশি শরণার্থীর বাস৷তবে আগুনে পুড়ে যাওয়া সেখানে আর ঠাঁই নেই তাদের৷ তাই আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়৷ অস্থায়ী বসতি বানিয়ে গ্রিস সরকার তাদেরকে সরিয়ে নিতে চায়৷
‘খাবার নয়, মুক্তি দিন’
কয়েকদিন খোলা আকাশের নীচে থাকার পর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করেছেন শরণার্থীরা৷ মোরিয়ার মতো অনিরাপদ বসতিতে আর না পাঠানোর দাবি তাদের৷ ‘আমরা খাবার চাই না, আমরা চাই মুক্তি’, এভাবেই ডয়চে ভেলেকে নিজেদের দাবির কথা বার বার জানাচ্ছিলেন শরণার্থীরা৷
প্রতিবাদ প্রতিদিন
শরণার্থীদের আশঙ্কা- তাদেরকে হয়তো মোরিয়ার মতো বসতিতে আবারো ফিরতে হবে৷ আর তাই প্রতিদিনই তারা এর প্রতিবাদ করছেন৷ প্রতিবাদ ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷
মুক্তির দাবিতে শিশুরাও
শরণার্থীদের অধিকাংশই আফগানিস্তান, কঙ্গোসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা৷ যুদ্ধের ভয়বহতা কাটিয়ে উঠে তারা এখন বেঁচে থাকার অধিকার আদায়ে প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন৷ আর এ প্রতিবাদে শামিল হচ্ছে শিশুরাও৷
নেই তাৎক্ষণিক সমাধান
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় দিনযাপন করছে মোরিয়ার শরণার্থীরা৷ গ্রিস সরকার বলছে, তাদেরকে খুব দ্রুতই নতুন ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হবে৷ বুধবার পর্যন্ত মাত্র এক হাজার শরণার্থীকে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছে৷
দুর্দশার শেষ নেই
প্রায় কয়েকদিন ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকার পর সহায়তা হিসেবে শরণার্থীরা দুই বোতল পানি আর সামান্য কিছু খাবার পাচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে আছে করোনার ভয়ও৷ এখন পর্যন্ত শরণার্থীদের ৩১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গেছে৷
রাতের আঁধারে বিপদ বাড়ে
রাত নামলেই আশঙ্কা আর বিপদ বাড়তে থাকে৷ ‘‘একজন মেয়ে হয়ে অচেনা পুরুষদের সাথে থাকা আপনি ভাবতে পারেন? অথবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে যাওয়ার কথা? বিষাক্ত পোকামাকড় আমার সন্তান আর স্বামীকে কামড়াতে পারে সেই ভয়ে আমি সারারাত ঘুমাতে পারি না,’’ ভেলেকে বলছিলেন এক আফগান তরুণী৷
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ছায়া
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে থেকে আসা শরণার্থীদের সবারই মানসিক অবস্থা ভয়াবহ৷ ‘‘আমরা এখানে টাকা চাইতে কিংবা আনন্দ করতে আসিনি৷ আমরা এসেছি আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা নিশ্চিত করতে,’’ ডয়চে ভেলেকে বলেন এক আফগান শরণার্থী৷