1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসের শরণার্থী নিয়ে জার্মানিতে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

১৪ আগস্ট ২০২০

গ্রিসের শরণার্থী শিবির থেকে কাউকে জার্মানির কোনো রাজ্যে নিয়ে আসা যাবে না বলে রাজ্যসরকারগুলোকে জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হোর্স্ট সেহোফার৷ তিনি বলেছেন, এর ব্যত্যয় হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

https://p.dw.com/p/3gwhe
Griechenland | Ministerpräsident Laschet besucht das Flüchtlingslager Kara Tepe
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Hülsmeier

জার্মানির ১৬টি রাজ্যের অধিকাংশই কেন্দ্রীয় সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রশাসন বার্লিন ও থুরিঙ্গিয়া রাজ্যে গ্রিক শরণার্থী শিবির থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জার্মানিতে নিয়ে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷

গ্রিসেরবেশ কয়েকটি দ্বীপের শরণার্থী শিবিরে শত শত মানুষ গাদাগাদি করে অমানবিক জীবন যাপন করছে৷ জার্মানির ওই রাজ্য দু'টি এরই মধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে৷ আদালতে মানবিকতার বিষয়টি তুলে ধরে অবিলম্বে এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে৷ পাশাপাশি ওই শরণার্থীদের জার্মানিতে আনার প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় সে আর্জিও জানানো হয়েছে৷

সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়াও জানিয়েছে গ্রিসের শরণার্থী শিবির থেকে তারা আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে প্রস্তুত৷

এমনকি এই রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আর্মিন ল্যাসেট গত সপ্তাহে মোরিয়া দ্বীপে শরণার্থী শিবির ঘুরে এসেছেন৷ সেখানে শরণার্থীরা তাকে জার্মান চ্যান্সেলর ভেবে ঘিরে ধরেছিল৷ ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরেন তিনি৷ মোরিয়া দ্বীপে তিন হাজার শরণার্থী রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে সেখানে ১৭ হাজার শরণার্থী আছে৷ প্রায়ই স্থানীয়দের সাথে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়৷

নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়াসহ বেশ কয়েকটি জার্মান রাজ্যের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সাথে শরণার্থী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটা করা উচিত৷ তবে বার্লিন ও থুরিঙ্গিয়া এমন কোনো শর্ত ছাড়াই শরণার্থীদের নিতে রাজি৷

সেহোফার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত হলো যে-কোনো শরণার্থী সংকট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমাধান মেনে হবে৷

জার্মান আইনজীবীরা বলছেন, যতক্ষণ এ বিষয়ের সঙ্গে জাতিসংঘ জড়িত না হবে, ততক্ষণ আসলে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে না৷ কেবল জাতিসংঘই বলতে পারে এটা মানবিক সমস্যা৷ জাতিসংঘ জড়িত না হলে এটি কেবল রাজনৈতিক বিষয়, আইনি পদক্ষেপ এর বিরুদ্ধে নেয়া যাবে না৷

জার্মানিরএকটি বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা কার্পেনস্টাইন জানিয়েছে, জরুরি মানবিক সংকটে জার্মান আইন অনুযায়ী শরণার্থীদের ‘রেসিডেন্স পারমিট' দিতে পারে রাজ্য সরকার৷ এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন অবশ্য প্রয়োজন৷

এর আগে সেহোফার এ ধরনেরশরণার্থীদের জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন৷ যেমন: ইরাক থেকে ইয়াজিদিদের অথবা সিরিয়ার মানুষদের৷ তবে ওই শরণার্থীরা সরাসরি নিজেদের দেশ থেকে এসেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশ থেকে নয়৷ তাদের সাহায্য করেছে ইউএনএইচসিআর৷

ইটালি, গ্রিস আর মাল্টায় শরণার্থী বেশি হওয়ায় তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে শরণার্থী নেয়ার নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে৷

ক্রিস্টোফ হাসেলবাখ, বেন নাইট/এপিবি