গ্রিসের জন্য বেইলআউট নিয়ে বিভ্রান্তি
১৩ মার্চ ২০১০ইউরোপীয় কমিশনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, এথেন্স যদি তার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সহায়তা চায়, তবে ‘সমন্বিত পারস্পরিক সহযোগিতা' হিসেবে এই বেইলআউট দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোভুক্ত ১৬টি দেশ৷ এতে আরো বলা হয় যে, জার্মানির পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও এই বেইলআউটের সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে৷ ইউরো অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরা সোমবার এই অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনমূলক কর্মসূচি চূড়ান্ত করবে৷
পত্রিকাটি বলছে, ২৫ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত পৌঁছতে পারে এই বেইলআউটের অর্থ৷ আর গ্রিসের জন্য গোটা ২০১০ সালে প্রয়োজন ৫৩.২ বিলিয়ন ইউরো৷ অবশ্য গ্রিস নিজেই তাদের বাজেট ঘাটতি জিডিপি'র ৮.৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে গত সপ্তাহে ৪.৮ বিলিয়ন ইউরোর কৃচ্ছ্রতাসাধন পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে৷ ২০০৯ সালে দেশটির বাজেট ঘাটতি ছিল ১২.৭ শতাংশ৷
এদিকে, জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, অর্থনৈতিক সংকটে থাকা গ্রিসের জন্য কোন বেইলআউটের ব্যাপারে তারা এখনও অবগত নয়৷ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, পত্রিকার খবরটি সঠিক বলে তিনি বিশ্বাস করেন না৷ তিনি বলেন, ‘‘এরকম কোন পরিকল্পনা হচ্ছে বলে আমরা জানি না৷'' গ্রিস কোন আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘গ্রিস নিজেই এজন্য কৃচ্ছ্রতাসাধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং আমরা আশা করি যে, তারা নিজেরাই নিজেদের উদ্ধার করতে সক্ষম হবে৷''
অন্যদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র জোনাথান টড শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রয়োজনে এই ধরণের কাজের জন্য কমিশন প্রস্তুত রয়েছে৷ কারিগরি কাজগুলো চলছে এবং এখনও তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি৷ ফলে বাকি যা কথা বলা হচ্ছে তা ধারণা মাত্র৷'' উল্লেখ্য, গ্রিসের সংকট কাটাতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সহযোগিতার ব্যাপারে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জল্পনা কল্পনা চলছে ইউরো অঞ্চলের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত সহযোগিতার বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস ছাড়া অন্য কিছুই পায়নি এথেন্স৷ বিশেষ করে, গ্রিসের জন্য যে কোন সহযোগিতার উদ্যোগের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান নীতি-নির্ধারক দেশ জার্মানি এখন পর্যন্ত বেইলআউটের প্রশ্নে বিরোধিতা করে আসছে৷
প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ