1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোর্খা লিগ নেতা তামাং নিহত

২১ মে ২০১০

দার্জিলিং-এর গোর্খা লিগ নেতা মদন তামাং-কে কুকরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সশস্ত্র দুষ্কৃতিরা৷ মোর্চা যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

https://p.dw.com/p/NTiH
নিহত গোর্খা লিগ নেতা মদন তামাং (ফাইল চিত্র)ছবি: DW

কিন্তু শুক্রবার সকালে, দার্জিলিং-এর জনবহুল চকবাজার এলাকায় সবার চোখের সামনে এই খুনের ঘটনায়, নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পাহাড়ে৷ হাঙ্গামার ভয়ে অঘোষিত বনধ শুরু হয়ে গেছে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে৷ সন্ত্রস্ত প্রশাসন অভিযুক্তদের খোঁজে তৎপর হয়েছে৷ খুনের প্রতিবাদে আজ থেকেই পাহাড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে জেলা বামফ্রন্ট৷

এদিন দার্জিলিংয়ে একটি সভা করার কথা ছিল গোর্খা লিগ-এর৷ কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আগেভাগে গিয়ে সেই জায়গার দখল নিয়ে নেয়৷ তখন পুলিসের অনুমতি নিয়ে দার্জিলিং-এর চকবাজারে সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গোর্খা লিগ কর্মীরা৷ তার তদারকি করতেই গিয়েছিলেন গোর্খা লিগ সভাপতি মদন তামাং৷ তখনই একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতি সেখানে হামলা চালায়৷ আক্রান্ত হন মদন তামাং৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান৷

উত্তরবঙ্গের বাম নেতা, রাজ্যের পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়, এটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা৷ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পাহাড়ে যে সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে, শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন মদন তামাং৷ তিনি পাহাড়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দিয়েছিলেন৷ তাই তাঁকে খুন করা হল৷

উল্লেখ্য, পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এবং বামফ্রন্টের সঙ্গে মদন তামাং-এর সুসম্পর্ক ছিল৷ এবং পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের রাশ এখন যাদের হাতে, সেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে তীব্র বিরোধ ছিল মদন তামাং-এর দল গোর্খা লিগ-এর৷ পৃথক গোর্খা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন যিনি, সেই সুবাস ঘিসিং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দাপটে পাহাড়-ছাড়া হলেও, মদন তামাং মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন৷

কিন্তু মোর্চার তরফ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সম্পাদক রোশন গিরি৷ তিনি বলেন, গোর্খা লিগের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-র রাজনৈতিক বিরোধ ছিল, এটা ঠিক৷ কিন্তু সেই বিরোধ একেবারেই মতাদর্শগত বিরোধ৷ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা খুন জখমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, দাবি করেছেন রোশন গিরি৷

এদিন মহাকরণে এই খুনের খবর আসা মাত্রই উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয়৷ গত কয়েকদিন ধরে বনধ – পাল্টা বনধে এমনিতেই উত্তপ্ত ছিল দার্জিলিং, ডুয়ার্স অঞ্চল৷ এই খুনের জেরে যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল না হয়ে ওঠে, সেজন্য জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন