1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোপন কথাটি রবে না গোপন

২ ডিসেম্বর ২০১৯

ফোন কিনলেই ফেস স্ক্যান বাধ্যতামূলক৷ নতুন এ আইন চালু করল চীন, যা নিয়ে সোশ্যাল নেওয়ার্কে সরব নেটিজেনরা৷ তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে৷

https://p.dw.com/p/3U5Ma
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/B. Piao

নতুন ফোন নিতে গেলেই এবার ফেস স্ক্যান করতে হবে৷ নাগরিক সমাজের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও বদলালো না চীনের নয়া নিরাপত্তা নীতি৷

রবিবার থেকেই নতুন আইন চালু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে৷ গ্রাহকদের বলা হয়েছে, নতুন ফোন নিতে হলে ফেস স্ক্যান বাধ্যতামূলক, যদিও দেশের সরকার নতুন আইনের কথা ঘোষণার পরেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ দেশের এক আইনের অধ্যাপক নতুন আইনের বিরুদ্ধে আদালতেও গিয়েছিলেন৷ তাঁর বক্তব্য, এত দিন নতুন ফোন নেওয়ার জন্য আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক্স) দিতে হতো৷ তাঁর আশঙ্কা, এবার ফেস স্ক্যান করলে কোনো তথ্য গোপন থাকবে না৷

কেবল চীনে নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বায়োমেট্রিক্স কিংবা ফেস স্ক্যানের তথ্য পাচারের অভিযোগ এর আগেও উঠেছে৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকেও তথ্য বিক্রি হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে বহু সময়ে৷ এ কারণে অনেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে চান না৷ চীনে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করা যায় না৷ চীন সরকারের দাবি, ইন্টারনেটে অপরাধ কমানোর জন্যই এমন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছিল৷ ফোনের ক্ষেত্রেও অপরাধমূলক কাজকর্ম কমানোর লক্ষ্যে ফেসস্ক্যানের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে৷ এর ফলে ফোন ব্যবহারকারীদের যাবতীয় তথ্য সরকারের কাছে থাকবে৷ কোথাও কোনো অপরাধ হলে দ্রুত সেই তথ্য দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে৷

বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, চীনের এই নতুন নিয়ম চালু করার পিছনে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং ফোনে নাগরিকরা ‘দেশবিরোধী’ কার্যকলাপ চালাচ্ছেন কি না, সেদিকে নজর রাখাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য৷ বিশেষত হংকংয়ে আন্দোলন তীব্র হওয়ায় এ ধরনের নজরদারি আরো বাড়ানো হচ্ছে বলেই তাঁদের অভিমত৷ এবং সে কারণেই ফেস স্ক্যানের জন্য গোটা দেশ জুড়ে কয়েক লক্ষ নতুন ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে খবর৷

এসজি/এসিবি (এএফপি)