গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু
১০ আগস্ট ২০১০তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান জানিয়েছেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা হবে৷ অন্যদিকে, অসুস্থতার কারণে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে মঙ্গলবার ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়নি৷ ২৪শে আগস্ট তাকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
অভিযোগ রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, হামলা আর লুটপাটের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন গোলাম আযম৷ তিনি তখন জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পাকিস্তানের আমির ছিলেন৷ স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাইরে থেকে '৮০'র দশকে দেশে ফেরেন তিনি৷ এখন তিনি দেশেই আছেন৷
গোলাম আযম গ্রেপ্তার না হলেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তারা৷ তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনাকারী হিসেবে আলাদা মামলা হবে৷ জানালেন, তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক খান৷
মনে করা হয়, বয়সের কারণে আমিরের পদ ছেড়ে দিলেও এখনো গোলাম আযমের নির্দেশেই জামায়াতে ইসলামী চলে৷ ঢাকার মগবাজারে কাজী অফিস লেনে তার বাড়ির ওপর কড়া নজর রাখছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা৷ তার দেশ ত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান৷
এদিকে, অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে কারাগার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়নি৷ ট্রাইবুনাল আগামী ২৪শে আগস্ট তাকে হাজির করার নির্দেশ দেন৷ ট্রাইবুনালে সাঈদীর আইনজীবী তাকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার না দেখানোর আবেদন করেছেন৷ ওই দিন সাঈদী ছাড়াও জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় নেতা মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লার আবেদনগুলোর নিষ্পত্তি হবে৷ তারা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম