গোটাবিশ্বে যাত্রীবাহী বিমান বাড়ছে
বিশ্বব্যাপী যাত্রীবাহী বিমানের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷ শুধু ২০১৬ সালে এই বৃদ্ধি আগের তুলনায় ৬ দশমিক তিন শতাংশ বেশি৷ তবে এই বৃদ্ধির সুফল সবাই পাচ্ছে না, অন্তত সমানভাবে তো নয়ই৷ আর বড় আয় হচ্ছে অন্য কোথাও৷
জনাকীর্ণ আকাশ
আরো যাত্রী মানে আরো বিমান৷ ২০৩৫ সাল নাগাদ এশিয়ায় যাত্রীবাহী বিমানের সংখ্যা দ্বিগুন বেড়ে ১৭,০০০ হবে৷ উত্তর আমেরিকায় এই সংখ্যা হবে ৯,৮০০ এবং ইউরোপে ৭,৯০০৷
বৈমানিকদের চাহিদা বাড়ছে
আরো বিমান মানে আরো বৈমানিক দরকার৷ বোয়িংয়ের হিসেব অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল নাগাদ অন্তত ৬১৭,০০০ নতুন বৈমানিক দরকার হবে, বিশেষ করে এশিয়ায়৷ মোটের উপর, ৬৭৯,০০০ নতুন রক্ষণাবেক্ষণকর্মী এবং ৮১৪,০০০ জন বাড়তি ফ্লাইট অ্যাসিস্ট্যান্টের দরকার হবে৷
সবচেয়ে বড় হাব
বিমানযাত্রীর সংখ্যা বিচারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় হাবগুলো হচ্ছে লন্ডনের হিথ্রো, প্যারিসের শার্ল দ্য গল এবং জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর৷ ২০১৪ সালে ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর থেকে দুই মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহণ করা হয়েছে৷ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়, সেখানে ২০১৫ সালে ১০০ মিলিয়ন বিমানযাত্রী ছিল৷
বাজেট এয়ারলাইন্সগুলো রক্ষা করছে
জার্মানির বিমান শিল্পে বৃদ্ধি অবশ্য জার্মান বিমানসংস্থাগুলোর কারণে খুব একটা হয়নি৷ বরং বিদেশি বিভিন্ন বিমানসংস্থার অবদান এতে বেশি৷ জার্মানির বিমানসংস্থাগুলোর দূরপাল্লার উড়ালের সংখ্যা গত ছয় বছর ধরে ধারবাহিকভাবে কমছে৷ অন্যদিকে, অতিরিক্ত সুবিধাহীন বাজেট এয়ারলাইন্সগুলোর, যেমন রাইনএয়ার এবং ইজিজেট, উড়ালের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বেড়েছে৷
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট কর্মসূচি
জার্মান পতাকাবাহী বিমানসংস্থা লুফৎহানসা গত বছর এক দশমিক আট বিলিয়ন ইউরো মুনাফা করতে সক্ষম হয়, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি, যদিও বিমান সংস্থাটিকে একের পর এক ধর্মঘটের মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ পাইলটদের ইউনিয়নের ধর্মঘটের কারণে লুফৎহানসার ২০১৪ সাল থেকে প্রায় আধা বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে৷ ইতোমধ্যে, অবশ্য ম্যানেজমেন্ট এবং পাইলটদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে৷
সবচেয়ে বেশি আয় যাদের
এভিয়েশন সামগ্রিকভাবে একটি লাভজনক ব্যবসা৷ তবে কিছু সংস্থা অন্যদের চেয়ে বেশ এগিয়ে৷ যদিও বিমান সংস্থাগুলো সাধারণত বিনিয়োগকৃত মূলধনের চার শতাংশ মুনাফা করতে পারে৷ জার্মানির বিমান বন্দর অপারেটর এবং বিমান উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে লাভের পরিমান ৬ থেকে ৭ শতাংশ৷ এছাড়া এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং বুকিং সেবাদাতাদের লাভের পরিমাণ বিশ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে৷
আমাদের জন্য কী আছে?
ক্লান্ত যাত্রীদের জন্য বিছানা, মাসাজ, পায়ের কাছে বেশি জায়গা, চাইল্ডকেয়ার সেবা এবং বারসহ গোসলের ব্যবস্থা৷ হ্যাঁ, বিমানে এসব কিছুই অদূর ভবিষ্যতে পাবেন সাধারণ যাত্রীরা৷