1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুয়ান্তানামো বন্দিদের উপর পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ

৫ মার্চ ২০১১

কিউবার গুয়ান্তানামো বন্দি শিবিরে আটকদের উপর বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষা চালায় মার্কিন নিরপত্তারক্ষীরা - এক সাবেক গুয়ান্তানামো বন্দির এই দাবি নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷ একটি মার্কিন ওয়েবসাইটও একই ধরণের দাবি করেছিল৷

https://p.dw.com/p/10ToN
গুয়ান্তানামো’র বন্দিশিবিরছবি: AP

তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক মুরাদ কুরনাজ৷ তাঁর দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালিত গুয়ান্তানামো বন্দিশিবিরে তাঁর উপরে মেডিকেল পরীক্ষা চালানো হয়েছিল৷ শুধু তিনি নন, আরো অনেক বন্দি এই পরীক্ষার শিকার হন৷

জার্মানির বার্লিনার সাইটুং পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুরনাজ জানান, সাড়ে চার বছরের বন্দি জীবনে তাঁকে অনেকবার জোর করে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল৷ ২০০৬ সালে গুয়ান্তানামো থেকে মুক্তি পান তিনি৷

Ehemaliger Guantanamo-Häftling Murat Kurnaz
গুয়ান্তানামো’র বন্দি মুরাদ কুরনাজছবি: AP/Radio Bremen TV

কুরনাজের এই দাবির সঙ্গে মার্কিন আইনজীবীদের একটি গোষ্ঠী এবং একটি মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইটের দাবির মিল রয়েছে৷ তাদের দাবি ছিল, কোন কারণ ছাড়াই কিউবার বন্দিশিবিরে আটকদেরকে উচ্চ মাত্রার ওষুধ সেবনে বাধ্য করা হতো৷

কুরনাজ জানিয়েছেন, কোন কারণ ব্যাখ্যা না করেই তাঁর শরীরে ইনজেকশন দেয়া হতো৷ এতে করে তাঁর বেশ সমস্যা হতো৷ অনেক সময় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দিত৷ এমনকি অনেক বন্দিকে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক দেওয়া হয়েছিল৷ অথচ বন্দি শিবিরে ম্যালেরিয়ার কোন প্রকোপ ছিল না৷

কুরনাজ'এর মতে, এভাবে বিনা প্রয়োজনে ওষুধ প্রদানের প্রতিক্রিয়ায় অনেক বন্দি বেলুনের মত ফুলে উঠত৷ কারো কারো সারা শরীর ঘামে ভিজে যেত৷ বন্দিদের ধারণা, নতুন উৎপাদিত বিভিন্ন ওষুধ তাদের উপরে পরীক্ষা করত মার্কিন নিরাপত্তারক্ষীরা৷

বলাবাহুল্য, সম্প্রতি মার্কিন সংস্থা ট্রুথআউট বন্দিশিবিরে তিনটি আত্মহত্যার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে৷ গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে গুয়ান্তানামোর বন্দিদের উচ্চ মাত্রার ম্যালেরিয়া রোধক ওষুধ ম্যাফলোকুউন প্রদান করা হয়েছিল৷ স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ওষুধ বন্দিদের শরীরে প্রবেশ করানো হয়৷ কুরনাজের আইনজীবীও দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন, তার সঙ্গে ম্যাফলোকুইন এর প্রতিক্রিয়ার মিল রয়েছে৷

অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন, এতদিন পর মুখ খুললেন কেন কুরনাজ? বলা হচ্ছে, এক সাংবাদিক তাঁর কাছে মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চান৷ তারই জবাবে নাকি এত কথা বলেন মুরাদ কুরনাজ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক