1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুজরাটে মোদীর রেকর্ড জয়, হিমাচলে কংগ্রেস

৮ ডিসেম্বর ২০২২

গুজরাট আবার বিজেপি-র। ২০০২-এর থেকেও ভালো ফল করতে চলেছে বিজেপি। হিমাচলে কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে।

https://p.dw.com/p/4KdXH
ছবি: Reuters

ভোটগণনা শুরু হওয়ার ঘণ্টাদেড়েকের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়, গুজরাটেবিজেপি তাদের সবচেয়ে ভালো ফল করতে চলেছে। এমনকি ২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি জিতেছিল ১২৭টি আসন। আর এবার তারা এগিয়ে ১৫৮টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে মাত্র ১৬টি আসনে। আপ পাঁচটিতে। গুজরাট বিধানসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার রেকর্ড এবার ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। এর আগে কোনো দল বিধানসভা ভোটে এতগুলি আসনে জেতেনি। 

এতদিন পর্যন্ত গুজরাটে বিজেপি-রসঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই হতো। কিন্তু এবার গুজরাটে কেজরিওয়ালের আপ খুব গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনে লড়েছে। গত ছয় মাস ধরে কেজরিওয়াল সেখানে প্রচার করেছেন। জনসভা, রোড শো, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার কিছুই বাকি রাখেননি। এর ফলে বিরোধী ভোট ভাগ হয়েছে। এই ভোটভাগের ফলে কংগ্রেসকে অনেক আসন হারাতে হয়েছে বলে প্রাথমিক ফলের পর দলের নেতারা অনুমান করছেন। গুজরাটে কংগ্রেসের ভোট গতবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমেছে। আর আপ পেয়েছে ১৪ শতাংশ ভোট। ফলে আপ কংগ্রেসের ভোট অনেকটাই কেটেছে। 

কেজরিওয়ালের আশা ছিল, গুজরাটে আপ অন্তত কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দুই নম্বর দল হবে। এখনো পর্যন্ত সেই আশা পূরণ হচ্ছে না। তারা সামান্য কয়েকটি আসনে জিততে পারে। ফলে মোদী-রাজ্যে বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে খুব বেশি সাফল্য পাননি কেজরিওয়াল। তবে গুজরাটে আসন জেতাকে যদি বড় সাফল্য বলে ধরা হয়, তাহলে সেই সাফল্য আপ পেতে চলেছে। 

দ্বিতীয় আরেকটি কারণ হলো, এবার কংগ্রেস থেকে হার্দিক প্যাটেল-সহ একগুচ্ছ নেতা ও বিধায়ক বিজেপি-তে চলে গেছেন। অল্পেশ ঠাকোরের মতো প্রভাবশালী নেতারাও সেখানে নাম লিখিয়েছেন। ফলে বিজেপি সেই আসনগুলিতে জিতেছে। এভাবেই ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও বিজেপি রেকর্ড সংখ্যা নিয়ে গুজরাটে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। মোদী-শাহ প্রমাণ করে দিয়েছেন, গুজরাটে তাদের দূর্গে ভাঙন ধরাবার ক্ষমতা এখন কংগ্রেস বা আপের নেই। আগামী লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হিমাচলে কংগ্রেস

এমনিতে এই পাহাড়ি রাজ্যের প্রবণতা হলো, সেখানে একবার কংগ্রেস ও একবার বিজেপি ক্ষমতায় আসে। সেইমতো এবার কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার পালা। কিন্তু দেশজুড়ে কংগ্রেসের যা অবস্থা, তাতে তারা একটি রাজ্যে নিজের জোরে ক্ষমতায় আসছে, তা সাম্প্রতিককালে বিশেষ দেখা যায়নি।  কিন্তু হিমাচলে তারা ক্ষমতায় আসছে। 

হিমাচলে প্রথমদিকে কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে প্রবল লড়াই চলছিল। কখনো কংগ্রেস এগিয়ে যাচ্ছিল, কখনো বিজেপি। হিমাচলে আপও লড়েছিল। কিন্তু তারা কোনো আসনে এগিয়ে নেই। যত সময় এগিয়েছে, ততই কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-র এগিয়ে থাকা আসনের পার্থক্যও বেড়েছে। এখন কংগ্রেস ৪০টি আসনে এগিয়ে, বিজেপি ২৫টিতে। ৩৫টি আসন পেলেই হিমাচলে সরকার গঠন করা যায়। গতবারের তুলনায় কংগ্রেসের আসনসংখ্যা ১৯টি বাড়ছে। 

হিমাচলে আপ একটিও আসন পায়নি। তারা কংগ্রেসের ভোটও কাটতে পারেনি। ফলে কংগ্রেসের পক্ষ জয় পাওয়া সহজ হয়েছে। 

তবে এখন থেকেই কংগ্রেস নিজের জয়ী বিধায়কদের সুরক্ষিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা বিধায়কদের চণ্ডীগড়ে নিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের আশঙ্কা, এই হারের পরেও বিজেপি কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করবে। অতীতে এইভাবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেস সবচেয়ে বড় দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি। 

ফলে নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না হলে,গুজরাটে বিপুল জয় পেলেও বিজেপি-র বিজয়রথ পাহাড়ি রাজ্যে আটকে যাচ্ছে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই)