গুগলে কী খোঁজে জার্মানরা?
২০১৯ সালে কোন কোন বিষয়ে জানতে গুগলের দ্বারস্থ হয়েছেন জার্মানরা, দেখুন এই ছবিঘরে...
‘ফ্লস’ নাচ
২০১৭ সালে রাসেল হর্নিং ও কেটি পেরি ‘সুইশ সুইশ’ গানের সাথে এই বিশেষ নাচ করার পর থেকেই জনপ্রিয় হতে শুরু করে ‘ফ্লস’ নাচ৷ দুই হাত ও কোমর নাচিয়ে এই বিশেষ নাচ কীভাবে করতে হয়, তা জানতে গুগলের দ্বারস্থ হয়েছেন জার্মানরা৷
গ্রেটা থুনবের্গ
পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবের্গকে নিয়ে আগ্রহ সারা বিশ্বের মানুষের মতো জার্মানদেরও কম নয়৷ ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে সুইডেনের সংসদ ভবনের বাইরে অবস্থানে বসেন তিনি৷ এরপর থেকেই গুগলে তাঁর বিষয়ে খোঁজ করতে লেগে পড়েন জার্মানরা৷
৩১ অক্টোবর কেন?
পশ্চিমা দেশগুলিতে ৩১ আক্টোবর মানেই হ্যালোউইন৷ কিন্তু জার্মানিতে কোথাও তা পালিত হয় রিফরমেশন ডে হিসাবে৷ এই দিনটির মাহাত্ম্য কী, তা নিশ্চিত হতে বারবার গুগলে উঠে এসেছে এই তারিখের উল্লেখ৷
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচন
রাজনীতির খবরাখবর রাখতেও গুগলের কাছে হাত পাতেন অনেকে৷ জার্মানরাও এর ব্যতিক্রম নয়৷ ২০১৯ সালের মে মাসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়৷ তার আগে ও পরে বাড়তে থাকে এবিষয়ে জার্মানদের আগ্রহ, জানাচ্ছে গুগল৷
চলচ্চিত্রের হালহকিকত
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ছবির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার ইংরেজি ছবি ‘দ্য জোকার’ উঠে এসেছে জার্মানদের গুগল সার্চে৷ এই ছবিটির পক্ষে-বিপক্ষে নানা রকমের মতামত উঠে আসলেও জার্মানিতে এই ছবিটি বেশ জনপ্রিয় হয়৷
আর্টিকেল ১৩
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নতুন কপিরাইট বিষয়ক আইন, যা আর্টিকেল থারটিন বা সেভেনটিন নামে পরিচিত, ছিল এই বছরেরে অন্যতম আলোচিত বিষয়৷ ২০১৯ সালের জুনমাসে চালু হওয়া এই ধারা কপিরাইট লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণ করে৷ এর ফলে, ইউটিউবের মতো সোশাল মিডিয়ায় সরকারী নজরদারী বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকে৷
মৃত ব্যক্তিত্বরা
কোনো বিখ্যাত ব্যক্তি মারা গেলে স্বাভাবিকভাবেই তাকে নিয়ে বাড়ে আগ্রহ৷ জার্মানদের গুগল সার্চের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে রয়েছে বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার কার্ল লাগেরফেল্ডের নাম৷ ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ শানেলের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর কার্ল৷ এরপর থেকেই জার্মানরা তাকে নিয়ে বাড়তি আগ্রহ দেখিয়েছেন৷
পিছিয়ে নেই খেলাধুলা
জার্মান ফুটবলার লেরয় সেইন জার্মান জাতীয় ফুটবল দল ছাড়াও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড়৷ বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলার খবর চাউর হবার পর থেকেই গুগলে লেরয়কে নিয়ে বাড়তে থাকে জার্মানদের খোঁজখবর৷