গায়ে আঁকা উলকি থেকে ক্যানসার হতে পারে
নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে না চায়? কিন্তু তাই বলে ক্যানসারের মতো অসুখ হবার আশঙ্কাকে গায়ে না মেখে বরং গায়ে নিত্য নতুন ছবি বা উলকি এঁকে ক্যানসারকে আহ্বান জানানো কি উচিত?
সৌন্দর্য বাড়াতে গায়ে উলকি আঁকা
সবাই চায় নিজেকে সুন্দর দেখাক, তার দিকে তাকিয়ে থাকুক অন্যরা৷ কিন্তু তাই বলে ক্যানসারের মতো মারণব্যাধিকে উপেক্ষা করে? হ্যাঁ, তাই করছে জার্মানিসহ বিশ্বের নানা দেশে এই প্রজন্মের অনেক ছেলে-মেয়ে৷
ঝুঁকিপূর্ণ সৌন্দর্য
জার্মানিতে বর্তমানে ৩৪ বছরের নীচে প্রতি চার জনের একজন গায়ে ছোট-বড় নানা ধরনের উলকি আঁকা রয়েছে৷ এই ‘ট্রেন্ড’ বা প্রবণতা চলতে থাকলে আগামীতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ গায়ে উলকি আঁকতে যে রং ব্যবহার করা হয়, সে রংয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই ঢুকে যায় শরীরের অনেক গভীরে – যা ঝুঁকিপূর্ণ৷ এ কথা বলেন জার্মানির ঝুঁকি গবেষণা সংস্থার কর্মকর্তা অধ্যাপক আন্দ্রেয়াস লুক৷
মতপার্থক্য
তিনি আরো বলেন, যন্ত্রের সাহায্যে সূচ ঢুকিয়ে যে সুন্দর-সুন্দর ছবি আঁকা হয় গায়ে তা দেখতে অনেকের কাছে ভালো লাগতে পারে৷ লুক আরো বলেন , রং ব্যবহারের পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে৷ এই রংগুলো থেকে ক্যানসার হতে পারে, বিশেষ করে কালো রং, যদিও এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে৷ছবিতে জার্মানির উলকি শিল্পী হ্যারবার্ট হফমান৷
অ্যালার্জি
রেগেন্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিষয়ক পদার্থবিদ প্রোফেসার ভল্ফগাং বয়েমলার বলেন, উলকি আঁকার রং থেকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে৷ তাছাড়া উলকি আঁকার সময় সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে সেখান থেকে ইনফেকশনও হতে পারে৷ বিশেষ করে নিকেল থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়ে থাকে৷
প্রথম উলকি আঁকার দোকান
১৯৫৯ সালে হামবুর্গ শহরের এই দোকানটিতেই জার্মানিতে প্রথম উলকি আঁকা শুরু হয়৷ আর এখন প্রায় প্রতিটি বড় শহরেই রয়েছে এ ধরনের দোকান, যেগুলোতে বেশ ভিড় হয়৷
বিজ্ঞাপনে উলকি
মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনেও উলকি ব্যবহার করা হয়৷ এই ছবিতে দেখুন, একটি মোটর সাইকেলের বিজ্ঞাপনে উলকি ব্যবহার করা হয়েছে৷
ছোট বড় নানা ধরনের উলকি
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উলকি আঁকা হয়৷ কারো পুরো হাতে আবার কারো বা পুরো শরীরে ৷ দেখে মনে হয় যেন কাপড়ের ডিজাইনটাই ওরকম৷