গাড়িচাপার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
২ ডিসেম্বর ২০২০আরো বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা। মঙ্গলবার বিকেলে জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ট্রিয়ারে পথচারীদের চাপা দিয়েছিল একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। বুধবার সকাল পর্যন্ত আরো তিনজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পাঁচ। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আরো অনেকের। মৃতদের মধ্যে একটি নয় সপ্তাহের শিশুও রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নয় সপ্তাহের ওই শিশুটিকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তার বাবা-মা। তাঁদের সঙ্গে ১৮ মাসের আরেকটি শিশুও ছিল। ১৮ মাসের ওই শিশু এবং তার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নয় সপ্তাহের শিশুটি এবং তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক ৭১ বছরের বৃদ্ধাও। ট্রিয়ার জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি সেখানে।
গাড়ি চাপা দিল কে?
পুলিশ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত আক্রমণকারী ব্যক্তির সঙ্গে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ পাওয়া যায়নি। আক্রমণকারীর বয়স, ৫১ বছর। সে জার্মান নাগরিক। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা পাওয়া যায়নি। যে গাড়িটি সে চালাচ্ছিল, সেটিও তার নিজের নয় বলে জানা গিয়েছে। ব্যক্তির রক্তে বিপুল পরিমাণ অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে। তার মানসিক সমস্যা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন সে এই ঘটনা ঘটালো, তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি গত কয়েক দিন ধরে গাড়িতেই থাকছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছে। পরিকল্পনা করেই সে আক্রমণ চালিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই গাড়িটি পথচারীদের হাঁটার জায়গায় তুলে দিয়েছিল সে। জিগজ্যাগ করে সেখানে গাড়ি চালিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবেই পথচারীদের চাপা দেওয়া হয়েছে।
ট্রিয়ারের কালো দিন
ট্রিয়ার শহরের মেয়র ঘটনার পর একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি দিনটিকে ট্রিয়ারের জন্য 'কালো দিবস' বলে ঘোষণা করেন। মেয়র জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। চতুর্দিকে ভয়াবহতার দৃশ্য ছড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। ওই জায়গায় একটি মেমোরিয়াল তৈরি করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেছেন।
এর আগেও জার্মানিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি নিয়ে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। তবে এর আগের ঘটনাগুলির সঙ্গে কোনো না কোনো সংগঠনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার ট্রিয়ারের ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা নিয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট ধারণায় পৌঁছানো যায়নি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)