গাজায় ফের বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল
২ এপ্রিল ২০১০ঐ বিমান হামলায় তিন ফিলিস্তিনি শিশু আহত হয়৷ ব্রিটেন ইসরায়েল এবং হামাস দু পক্ষকেই সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে৷
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, গাজা থেকে ইসরায়েলে কাসাম রকেট ছোঁড়ার জবাবেই ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান আর হেলিকপ্টার থেকে হামাস শাসিত গাজা ভূখন্ডের বিভিন্ন এলাকায় চারটি লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালানো হয়৷ ঐ মুখপাত্রের ভাষ্য, হামলায় দুটি সন্দেহভাজন অস্ত্র কারখানা ও অস্ত্রের দুটি গুদাম ধ্বংস হয়েছে৷
হামলার পর পর রাত থাকতেই ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীরা আহতদের উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও হামাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমান থেকে ছোঁড়া একটি রকেট এসে পড়ে গাজা সিটির একটি পনির কারখানায়৷ কারখানাটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে৷ ভাঙা কাচের টুকরো লেগে তিন শিশু আহত হয়৷
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবশ্য দাবি করেছে, গাজা সিটির ঐ পনির কারখানায় নাকি অস্ত্র মজুদ করা হয়, অথবা অস্ত্র তৈরি করা হয়৷
ইসরায়েলের উপ-প্রধানমন্ত্রী সিলভান শালম হামাসকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, রকেট ছোঁড়া বন্ধ না হলে ইসরায়েলি সেনা বাহিনী শীঘ্রই হামাস-শাসিত গাজা ভূখণ্ডে নতুন করে অভিযান চালাবে৷
বৃহস্পতিবার রাতে জঙ্গি ফিলিস্তিনিদের ছোঁড়া রকেট এসে পড়ে ইসরায়েলের আশকেলন শহরের অদূরে৷ কিছু ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি৷
গাজায় কট্টর ইসলামপন্থি হামাস আন্দোলনের সরকার প্রধান ইসমাইল হানিয়া দু'পক্ষে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পরিস্থিতির এই তীব্রতা বন্ধ করতে আমরা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷
গাজা এলাকার আশপাশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে থাকায় শুক্রবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন৷ পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘গাজা আর দক্ষিণ ইসরায়েলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় আমরা উদ্বিগ্ন৷ সকল পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি আমরা৷''
ব্রিটেন একই সঙ্গে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মার্কিন সমর্থিত পরোক্ষ আলোচনা শুরু করারও ডাক দিয়েছে৷
প্রতিবেদক : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ