গাজার উপর অবরোধ আরও শিথিল করার চাপ
২২ জুন ২০১০নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন'এর সঙ্গে আলোচনার পরেও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক এবিষয়ে অনমনীয় রয়েছেন৷ গাজার জন্য ত্রাণবাহী জাহাজ থামাতে গিয়ে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলকে অবরোধ অনেকটা শিথিল করতে হলো৷ এবার নির্মাণের কাজে আর কতকাল এই বাধা সৃষ্টি করতে পারবে নেতানিয়াহুর সরকার? এই প্রশ্ন সবার মনেই রয়েছে৷ এটা ঠিক, যে প্রায় অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে ইসরায়েলকে অনেকটা পিছু হটতে হয়েছে৷ গাজায় সিমেন্ট, লোহার মতো উপকরণ না পাঠানোর পেছনে ইসরায়েলের যুক্তি – বিপর্যস্ত পরিকাঠামোর পুনর্গঠনের বদলে হামাস তার সামরিক কাঠামো আরও মজবুত করার চেষ্টা করবে৷ কিন্তু এই যুক্তিও তেমন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেছেন, গাজার চরম পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সেখানকার পরিকাঠামোর পুনর্গঠন অত্যন্ত জরুরি৷ অতএব নির্মাণের কাজ তরান্বিত করতে হবে৷ ইসরায়েলের নিরাপত্তা সম্পর্কে উদ্বেগ স্বীকার করে নিয়েও মার্কিন প্রশাসন এবিষয়ে চাপ বজায় রাখছে৷ আগামী ৬ই জুলাই ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর আলোচনা হওয়ার কথা, যে বৈঠক ত্রাণবাহী জাহাজের উপর হামলার ঘটনায় স্থগিত রাখা হয়েছিলো৷
ইসরায়েল বহুকাল এভাবে চাপের মুখে পড়ে নমনীয়তা দেখায় নি৷ এই আচরণকে সেদেশের দুর্বলতা হিসেবে ধরে নিয়ে কেউ কেউ দুঃসাহস দেখানোর পথে যাচ্ছে৷ এমন কিছু আভাস এখনই পাওয়া যাচ্ছে৷ ইসরায়েলের চরম শত্রু হিসেবে পরিচিত ইরান গাজায় এক ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠাচ্ছে৷ প্রায় ১৪ দিন পর সেটির গাজা উপকূলে পৌঁছানোর কথা৷ ফলে সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক ইতিমধ্যে এমন যে কোনো অভিযানের বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছেন৷ তিনি আবার জানিয়ে দিয়েছেন, একমাত্র ইসরায়েলের আশদদ বন্দরে ত্রাণ পৌঁছে দিলে তল্লাশির পর সেখান থেকে সড়কপথে গাজায় সেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে৷ কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে তা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে, বলেন, বারাক৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক