গরু পাচারে বিএসএফ জড়িত খবরে প্রতিক্রিয়া
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০একই প্রতিবেদন পড়ে পাঠক ফিরোজ আহমেদ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘প্রতি বছর এত নিরীহ মানুষকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করেছে, এর দায় কে নেবে? এটা মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের লঙ্ঘন, অথচ বাংলাদেশ সরকার বরাবরই নির্বিকার থেকেছে৷’’ আর পাঠক শামীম রেজা লিখেছেন, ‘‘আমার বাড়ি বর্ডার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে৷ এখানে অনেক ব্যবসায়ী আছে, যারা বিএসএফদের সাথে যোগাযোগ করে গরু, ফেনসিডিলসহ অনেক জিনিস বাংলাদেশে নিয়ে আসে৷এক্ষেত্রে শুধু বিএসএফ নয়, কিছু বিজিবিও জড়িত৷’’
শামীম রেজার মন্তব্যের সূত্র ধরে আশীষ বিশ্বাসের প্রশ্ন, ‘‘বিজিবি জড়িত না থাকলে গরু ঢোকে কী করে ?'' বাবলু ভুইয়া তাকে সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন, এটা শতভাগ সত্যি, ওদের সহযোগিতা ছাড়া সীমান্তে গরু পাচার করা অসম্ভব!’’
তবে পাঠক রেজাউল করিম মাসুম কিন্তু মনে করেন, গরু পাচারে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী এবং কাস্টমস কতৃপক্ষ জড়িত৷
আশরাফুর নূরের ধারণা বিএসএফ ফেন্সিডিল, মাদকদ্রব্য, শাড়ি ইত্যাদি চোরাচালানের সাথেও জড়িত৷ নূরের সাথে একমত পাঠক সাইফুল ইসলাম৷ আর সাইফুল কায়সারের মন্তব্য, ‘‘বিএসএফ সীমান্তরক্ষী হিসেবে অপরিপক্ক তা সবাই জানে৷’’
সীমান্তে গরু পাচারে বিএসএফ জড়িত থাকার সত্যতা এখন প্রকাশ পাওয়ায় খুশি পাঠক জামু রহমান৷ আনোয়ার হোসেনও আনন্দিত৷
অপূর্ব সেন সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন৷ তার মতে, বিএসএফের টাকা যেসব চোরাকারবারি ফাঁকি দিতে যায়, তারাই মারা পড়ে৷
‘‘ভারতীয় গরু পাচারে সামরিক এবং বেসামরিক বিশাল একটা সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, বাংলাদেশিরা শুধুই ক্রেতা আর এই সত্যটা প্রকাশে এত দেরি হলো কেন?’’ জানতে চেয়েছেন পাঠক কাজি তাজউদ্দিন৷
আর ফেসবুক পাতায় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে হত্যার ন্যায়বিচার দাবি করেছেন পাঠক আহসান করিম৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা:আশীষ চক্রবর্তী