1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খেলাচ্ছলে এ কেমন নির্মমতা!

৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সন্তান আর পোষা প্রাণী – পশ্চিমা বিশ্বে এই দুইয়ের মধ্যে বিশেষ তফাৎ নেই৷ অনেকের কাছে পোষা প্রাণী পরিবারেরই সদস্য৷ অথচ এমন সমাজও আছে, যেখানে কুকুরের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়৷ অবশ্য জানাজানি হওয়ার পর ওঠে প্রতিবাদের ঝড়ও৷

https://p.dw.com/p/2jThk
Screenshot Youtube Frau zündet Hund an
ছবি: Youtube/sszs

ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যের৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ১৩-১৪ বছরের এক কিশোরী অ্যারোসল স্প্রে করে ও লাইটার হাতে কুকুরের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে৷ সেই সময় সেই কিশোরীকে হাসতেও শোনা গেছে৷ আর এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেছে সম্ভবত তারই বয়সি কোনো এক বন্ধু৷

স্হানীয় ফক্স ৮ টেলিভিশন চ্যানেলে এ নিয়ে বিশদ এক প্রতিবেদন তৈরি করে৷ যেই প্রতিবেদনে প্রাণীর প্রতি নির্মমতার কঠোর সমালোচনা করা হয়৷ ফক্স ৮ তাদের কয়েকজন দর্শকের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, এমনটা হতেই পারে না৷ কুকুরের সাথে কেন এমন ঘটনা ঘটানো হবে, সেটাই তাঁরা বুঝতে পারছেন না৷

ভাইরাল ভিডিওটি নজরে আসে, স্হানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও৷ তারাও এর সমালোচনা করেছেন৷ তবে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার দায়ে এই কিশোরীরের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি ওঠায় খানিকটা উভয় সংকটে পড়েছেন তাঁরা৷ কারণ  প্রচলিত আ্ইনে এটি কিশোর অপরাধের আওতাধীন৷ তাই ঠিক কীভাবে এই ঘটনার নিষ্পত্তি করবেন সেটি নিয়েই ভাবছেন এখন৷

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবেই নিষ্পত্তি করুক না কেন, এ ধরনের ঘটনার প্রভাব নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অনেকেই৷ ফক্স ৮ চ্যানেলের প্রতিবেদনেও দেখা গেছে এই ভিডিও দেখার পর অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন৷ তাঁরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে তাঁদের সন্তানদের ওপরও৷ শিশুদের কাছ থেকে এমন নিষ্ঠুর আচরণ কোনভাবেই আশা করেন না কেউই৷ কারণ, তাঁদের মতো অনেক পরিবার আছে যেখানে ব্যস্ত বাবা- মায়ের সন্তানেরা সঙ্গী হিসেবে দিনের একটা বড় সময় কাটিয়ে দেয় পোষা প্রাণীটির সাথে৷ দৃশ্যত এমনই এক পোষা কুকুরের সাথে দুই মার্কিন কিশোরীর নির্মমতায় হতবাক হয়েছে গোটা দুনিয়া৷

কুকুরটিকে অবশ্য পরে উদ্ধার করা হয়েছে৷

মোদ্দা কথা হলো, দুনিয়াব্যাপী দেশে-দেশে, মানুষে- মানুষে সহিংসতা যেমন আছে, তেমনি এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মানুষও কম নয়৷ যে কারও প্রতি সহিংসতা বা নিষ্ঠুরতা কখনই কোনো সমাজের কাম্য নয়৷ কাজেই নিছক খেলার ছলেই এমন ঘটনা নাকি বিশেষ কোনো মানসিক পরিস্থিতির উদ্ভবের ফলে শিশু-কিশোররা প্রাণীদের প্রতি এমন আচরণ করে, তা খতিয়ে দেখা যেমন দরকার৷ একইসাথে অভিভাবকদেরও এ সব বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার বা এ এ ধরনের ঘটনার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে সন্তানদের সচেতন করার সময় এখনই৷

এএম/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান