খালেদার বাড়ি রাখতে আন্দোলনের হুমকি বিএনপি মহাসচিবের
১৪ অক্টোবর ২০১০বিচার বিভাগ ‘দলীয়করণ' করে খালেদাকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উৎখাতের ‘ষড়যন্ত্র' হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সেনানিবাসের মইনুল সড়কের বাড়ি ছাড়ার নোটিশের বিরুদ্ধে খালেদার করা রিট আবেদন বুধবার খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ওই বাড়ি ছাড়তে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এক মাস সময় দিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ের পর বৃহস্পতিবার বিএনপির যৌথসভা শেষে দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে, ঠিক একই ভাবে তারা এখন জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক বেগম জিয়া ও তার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তাই যৌথসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিএনপিকে সরকারের এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে হবে। দেশের জনগণকে রক্ষায় অতীতের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান তিনি। খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর আপিলের বিষয়টি আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব৷
কর্মসূচির বিষয়ে খন্দকার দেলোয়ার বলেন, বিকালে শোকসভায় কর্মসূচি জানানো হবে। তবে শনিবার মুক্তাঙ্গনে বিক্ষোভ কর্মসূচির আভাস দেন তিনি৷ সোমবার সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে খালেদা জিয়ার সমাবেশস্থলের কাছে ট্রেন কাটা পড়ে অন্তত ৭ জন নিহত হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়। খালেদা জিয়ার দাবি, এটা দুঘর্টনা নয়, সরকার পরিকল্পিতভাবে তার দলীয় কর্মীদের ওপর ট্রেন উঠিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী লাশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন৷ ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও কয়েকজন মন্ত্রী বলে আসছেন, রেললাইনের পাশে জনসভা করায় দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেছে, আর এর দায় বিএনপির। এজন্য খালেদার বিরুদ্ধে মামলার কথা বৃহস্পতিবার বলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুন করলো তারা (সরকার), আর মামলা দেয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় খালেদার বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের রায়, নাটোরে বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা এবং সিরাজগঞ্জের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন সংযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক