খামারবাড়ি থেকে বসতবাড়ি
২৪ মার্চ ২০১৬তৈরির কাজ শেষ হয় ২০০১ সালে, জানালেন বাড়ির মালিক ফাবিও মরোনি, পেশায় ব্যবসায়ী৷ ফাবিও সকলকে আপ্যায়ন করলেন, ‘‘আসুন, আসুন, সকলকে স্বাগতম৷ এটা হলো আমাদের বসতবাড়ি, যেখানে আমরা থাকি৷ ২০ বছর আগেও এটা ছিল একটা খামারবাড়ি৷ যেখানে আমরা ছেলে বসে আছে, সেই জায়গাটা ছিল আসলে রান্নার ঘর আর খড় রাখার জায়গা৷ চাষিরা এসে এখানে কাজ করতো৷''
খামারবাড়িটা কেনার পর তার খোলনলচে বদলাতে তিন বছর সময় লেগে যায়৷ এককালে যেটা ছিল কিনা গোয়ালঘর, আজকে সেটা একটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আলো-ঝলমলে বসবার ঘর৷ বাড়ি মাঝের একটি সিঁড়ি দিয়ে তিনটি তলায় যাওয়া-আসা করা যায়৷ বীচ গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি সিঁড়িটা ডিজাইন করেছেন সুইজারল্যান্ডের স্থপতি রিকার্ডো ব্লুমার৷ ফাবিও জানালেন, ‘‘ল্যামিনেটেড হার্ডউড দিয়ে এ ধরনের কাঠামো সৃষ্টির আইডিয়াটা আসে ব্লুমারের মাথায়৷ একদিকে এই কাঠামো সিঁড়ির ওজন বইছে, অন্যদিকে তা ছাদের খিলান হিসেবেও কাজ করছে৷''
দোতলার বসবার ঘরটায় ফায়ারপ্লেস আর কাঠের মেঝে পাওয়া যাবে৷ জায়গাটা ফাবিও মরোনি ও তাঁর স্ত্রী ভেরোনিকার খুবই প্রিয়৷ তিনতলায় ঠিক ছাদের নীচেই শোবার ঘর আর বাড়ির মোট চারটি স্নানের ঘরের মধ্যে দু'টি৷ ফাবিও বললেন, ‘‘সামনেটা পুরোপুরি কাচের হওয়ায় মনে হয়, যেন বাইরেই বসে আছি, ভিতরে নয়৷ বাইরের দিকে তাকালে চারিদিকের দৃশ্য উপভোগ করা যায়, এমনকি শীতকালেও৷ বাড়ির ভিতরে বসলে মনে হয়, যেন বাইরে বসে আছি৷''