1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের পক্ষে প্রতিবাদ

২৪ অক্টোবর ২০১৮

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির ‘কোল কমিশন'৷ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার প্রায় ২০ হাজার খনিশ্রমিক রাস্তায় নেমে এসেছেন৷ কাজের সুরক্ষা দাবি করেছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/377s5
Deutschland Bergheim Demonstration gegen Kohlestopp
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Kaiser

জার্মানির কোলন শহরের কাছে বার্ঘাইমে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা৷ ‘‘ভালো কাজ ছাড়া ভালো পরিবেশ হয় না! আমরা আমাদের কর্মের সুরক্ষা চাই৷'' এই ব্যানার নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর আয়োজনে এই সমাবেশ হয়৷

ট্রেড ইউনিয়ন আইজি বিসিই'র প্রেসিডেন্ট মিখাইল ফাসিলিয়াডিস নিজেই গত গ্রীষ্ম থেকে কয়লা কমিশনের সদস্য ছিলেন৷ তিনি অভিযোগ করেন, কমিশন হামবাখ বন রক্ষায় আন্দোলনরত পরিবেশবাদীদের প্রতি যতটা সংবেদনশীলতা দেখিয়েছে ততটা এই খনি শ্রমিকদের প্রতি দেখায়নি৷

স্থানীয় একটি পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বন সুরক্ষার আন্দোলনকারীদের প্রতি সর্বোচ্চ সহমর্মিতা দেখানো হয়েছে৷ কিন্তু শ্রমিকদের সুরক্ষার প্রতি অবহেলা করা হয়েছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘জার্মানিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত৷''

আগামী কয়েক সপ্তাহে কমিশন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো কীভাবে আস্তে আস্তে বন্ধ করা হবে তার পরিকল্পনা তৈরি করবে৷ এতে শুধু খনি শ্রমিক নন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরাও চাকরি হারাবেন৷

বন্ধ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে এ বছরের শেষ নাগাদ প্রায় দেড় হাজার কোটি ইউরো খরচের হিসেব দেয়া হয়েছে৷

আইজি বিসিই'র একজন সদস্য ফ্রিটৎস টাপফর্ন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আমাদের কর্মসংস্থানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা এটা নিয়েই চিন্তিত৷ জ্বালানি কোত্থেকে আসছে, এটা আমাদের চিন্তার বিষয় নয়৷''

এদিকে, বার্ঘাইমে এদিন পরিবেশবাদীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন৷ সম্প্রতি হামবাখ বন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রতিবাদে এবং জার্মানির মাইনিং কোম্পানি আরডাব্লিউই'র সেখানে তাদের খনির পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা বন্ধে মাসব্যাপী আন্দোলন করেন তাঁরা৷

‘‘আমরা আইজি বিসিই'র বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছি না৷ আমরা এখানে এসেছি এটা বলতে যে, কয়লা পোড়ানো বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশ বাঁচাতে হবে,'' ডিডাব্লিউকে বলেন ওলগা পেরোফ নামের এক পরিবেশবাদী৷ 

‘‘আমরা শ্রমিকদের শঙ্কা বুঝতে পারি৷ কিন্তু কয়লা বন্ধ হতেই হবে৷ ১৯৯০ সালে কয়লাভিত্তিক এক লাখ চাকুরি ছিল৷ এখন বাকি আছে মাত্র ২০ হাজার৷ সুতরাং সামাজিকভাবেই আমাদের এটা ত্যাগ করতে হবে,'' যোগ করেন তিনি৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য