ক্ষতিপূরণ তহবিলের সামান্য অংশ পেতে পারে বাংলাদেশ
১০ ডিসেম্বর ২০০৯১৫তম জলবায়ু সম্মেলনে আলোচনা এখন নতুন কাঠামো তৈরি, তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ধারণ আর তহবিল পরিচালনার আলোচনায় জমে উঠেছে৷ বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো এখনো আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে৷ কারণ যে পরিমাণ টাকা আসবে তার ছিটে ফোঁটাও কি দেশগুলো পাবে, নাকি দীর্সসুত্রিতা আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তহবিল কেবলমাত্র খাতা কলমেই আটকে থাকবে৷ এবিষয়ে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ডয়েচে ভেলে কে বলেন, এলডিসি ভুক্ত দেশগুলোর পূর্ব অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাতা দেশগুলো পরামর্শ বা অবকাঠামো নিমার্ণের দোহাই দিয়ে সহায়তার বেশিরভাগ অংশই নিজেরদের পকেটে পুরে থাকে৷
ক্ষতিপূরণ তহবিলের জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত একশ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে এলডিসি ভুক্ত দেশগুলো৷ আর মিটিগেশনের জন্য প্রয়োজন আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার৷ বিভিন্ন দেশ এপর্যন্ত টাকা দিতে রাজি হলেও তার পরিমাণ বা এই অর্থ কবে দেবে তা নিয়ে জটিলতা এখনো রয়েই গেছে৷ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জি ইএফ নামের যে তহবিল রয়েছে তাও কোন কাজে আসছেনা৷ টাকা শেষপর্যন্ত সময়মতো এবং সঠিক খাতে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না৷ তাই এখন এলডিসির পক্ষ থেকে নতুন কাঠামোর জন্য দাবি তোলা হয়েছে৷
১৫ তম পরিবেশ সম্মেলনে যদি তহবিল গঠনের ব্যাপারে সত্যিই আশাব্যঞ্জক কিছু হয় তবে এলডিসি ভুক্তদেশগুলোর দাবি তা যেনো অবশ্যই আঞ্চলিক ভাবে তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা থাকে৷
এদিকে আগামী ১৪ তারিখ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অংশ নেবেন৷ এ ধরণের সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণ এই প্রথম৷ তাই সফল কোন সিদ্ধান্তের আশা করাই যেতে পারে বলে মনে করেন সাবের হোসেন চৌধুরী৷ তিনি বলেন, খালি হাতে হয়তো রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ফিরে যেতে চাইবেন না৷
উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের মাত্রা কতো হবে এনিয়ে বৃহস্পতিবার মিটিং হবার কথা থাকলেও এবিষয়ে কোন আলোচনাই এগোতে পারেনি৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক