1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্লোজে, পোডলস্কি ও ম্যুলারের গোল, ৪-১ এ জিতল জার্মানি

২৭ জুন ২০১০

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো এবার ইংল্যান্ডকে৷ জার্মানির কাছে ৪-১ গোলে হেরে এই ঐতিহাসিক বিদায় ইংলিশদের৷ জার্মানি জুড়ে আনন্দের বন্যা৷

https://p.dw.com/p/O4W5
জিতে গেছি ৪-১, ম্যাচ শেষের পর জার্মান দলের উচ্ছাসছবি: AP

খেলার শুরু থেকেই নিজেদের প্রমাণ করে গেছে জার্মানি৷ গোটা খেলায় সেভাবে খুঁজে পাওয়া গেল না ইংল্যন্ডকে৷ যে খেলা নিয়ে এত উত্তেজনা আর টেনশন ছিল, দেখা গেল সেই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে বের করে নিয়ে গেলেন জার্মানির তরুণ ফুটবলাররা৷ তা না হলে, এই ৪-১ ফলাফল প্রায় অবিশ্বাস্য৷

ব্লুমফন্টেইনের মাঠে মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে দু'টি গোল আসে থমাস ম্যুলারের পা থেকে৷ প্রথমটি ৬৭ মিনিটে এবং পরেরটি তিন মিনিট পরেই৷ মূলত কাউন্টার অ্যাটাক থেকেই গোল দু'টি পায় জার্মানরা৷ তবে রবিবার গোলের সূচনা ঘটান মিরোস্লাভ ক্লোজে৷ ২০ মিনিটেই আসে এই গোল৷ তার ১২ মিনিট পরেই গোল করেন লুকাস পডোলস্কি৷

ইংল্যান্ডের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ম্যাথিউ উপসন৷ স্টিভেন জেরার্ডের ক্রস থেকে পাওয়া বলে একটু মাথার ছোঁয়া দেন উপসন৷ গোলটি হয় ৩৭ মিনিটে৷ পরের মিনিটেই আরেকটি বৈধ গোল আসে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের পা থেকে৷ অন্তত ক্যামেরা বন্দি চিত্র সেকথাই বলে৷ নয়ার বেশ চাতুর্যের সাথে গোল সীমার ভেতর থেকেই বলটি কুড়িয়ে নেন৷ কিন্তু বড় দুর্ভাগ্য ইংলিশদের৷ উরুগুয়ের রেফারি জর্গে ল্যারিওন্ডার চোখ এড়িয়ে যায় গোলটি৷

এই ‘ভুতুড়ে গোল' নিয়ে বিতর্কেরও সৃষ্টি হলো রবিবারের ম্যাচ থেকে৷ তাছাড়া ইংল্যান্ড বনাম জার্মানির খেলা বলেই কথা৷ কারণ ১৯৬৬ সালে যে ইতিহাসের শুরু তাতে আরো কিছুটা মাল-মসলা যোগ হবে এমনটিই স্বাভাবিক৷ ফুটবল প্রেমীদের গাল-গপ্পের কিছু রসদও থাকবে এই দুই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে - তাতে খুব বেশি আশ্চর্য হওয়ার নেই৷ তবুও এমন ভুতুড়ে গোলের পর ফুটবলে রেফারির ভূমিকা নিয়েও কিছু নীতিগত সংশোধনের দাবি উঠতে পারে বৈকি৷ যাহোক, ইংলিশদের দাবিকে পাত্তা না দিয়েই খেলা চালাতে থাকেন ল্যারিওন্ডা৷ ফলে দ্বিতীয় আর কোন গোলের দেখা পায়নি ইংলিশরা৷

প্রতিবেদন : হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়