ক্রীড়াপ্রেমী এক রাষ্ট্রনায়কের কথা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন প্রায় সবসময়ই সংবাদ শিরোনামে থাকেন৷ সেই ২০০০ সাল থেকে তিনি রাশিয়া শাসন করছেন শক্তভাবে৷ বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী এই ব্যক্তির ক্রীড়াপ্রেম এবং কিছু অন্যরকম মুহূর্তের নমুনা থাকছে এখানে৷
শিকারি পুটিন
ইন্টারনেটে মাঝেমাঝেই পুটিনের এমন ছবি দেখা যায়৷ শিকারী হিসেবে বেশ ঝানু তিনি৷ আছে বাঘ শিকারেরও রেকর্ড৷ এই ছবিটি ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রথম প্রকাশ হয়েছিল৷ শিকার ছাড়াও পুটিনকে দেখা গেছে আইস হকি খেলতে, জুডো-কারাত প্রতিযোগিতায়৷
একে-৪৭ পরীক্ষা
রাশিয়ার রেলওয়ে কোম্পানির গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত সেন্টারে একটি একে-৪৭ সাবমেশিন গানের প্রদর্শণীর কাজে ব্যবহৃত ‘মক-আপ’ সংস্করণ পরীক্ষা করছেন ভ্লাদিমির পুটিন৷ ২০১২ সালে ছবিটি তোলা হয়৷
মোটর বাইকপ্রেমী পুটিন
হার্লি ডেভিডসন ল্যামেন ট্রাইক বাইক চালাচ্ছেন পুটিন৷ ২০১০ সালের জুলাইয়ে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়াতে রুশ এবং ইউক্রেনীয় মোটর বাইক চালকদের এক বৈঠকে এভাবে হাজির হন তিনি৷ রাশিয়ার বাইক গ্যাং ‘নাইট ভোল্বস’ পুটিনের বিশেষ ভক্ত৷ এচাড়া রেসিং কারও চালান পুটিন৷
বিশাল মাছ ধরা
২০১৩ সালে সার্বিয়ায় মাছ শিকার করতে গিয়ে ৪৬ পাউন্ড ওজনের এক পাইক মাছ ধরতে সক্ষম হন পুটিন৷ মাছসহ পুটিনের ছবি সেই সময় সাড়া জাগিয়েছিল৷
ধনুক দিয়ে তিমি শিকার
স্পিডবোট থেকে একটি ধুসর তিমির দিকে ধনুক তাক করে আছেন পুটিন৷ ২০১০ সালে তোলা এই ছবিটি ফেসবুকে অনেকবার শেয়ার হয়েছে৷ মূলত গবেষণার জন্য তিমির চামড়ার কিছু অংশ নিতে সেটিকে সাময়িকভাবে আটকাতে চেয়েছিলেন পুটিন এবং তাঁর সঙ্গের গবেষকরা৷ চতুর্থবার চেষ্টায় তিনি তিমির গায়ে তীর গাঁথতে সক্ষম হয়েছিলেন৷
খালি গায়ে ঘোড়ার পিঠে
কোনো দেশের রাষ্ট্রনায়কের এমন ছবি সাধারণত দেখা যায় না৷ ২০০৯ সালের আগস্টে টাইভাতে ছুটি কাটানোর সময় এভাবে খালি গায়ে ঘোড়ায় চড়েছিলেন পুটিন৷
আর্কটিক দ্বীপমালায় পুটিন
আর্কটিক দ্বীপমালায় এরকম বরফের গুহায় পুটিন হাজির হন ২০১৭ সালের মার্চে৷ এই ভ্রমণ অবশ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে৷ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সম্প্রতি একটি রানওয়ে তৈরি করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী৷ এখন একটি স্থায়ী বেস তৈরির কাজ চলছে৷