ক্রিকেট থেকে ফুটবল?
১০ এপ্রিল ২০১১স্যুদডয়েচে সাইটুং কিংবা ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'এর মতো মুখ্য জাতীয় দৈনিকগুলিতে সুদীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ তবে প্রতিবেদনগুলিতে খেলার বিবরণের চেয়ে ম্যাচের সময় এবং ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ১০০ কোটি মানুষের প্রথমে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা এবং পরে বাঁধভাঙা আনন্দের অনুভূতিগুলিই ফুটে উঠেছে৷ স্যুদডয়েচে সাইটুং লিখেছে, খেলা চলার সময়:
দিল্লি-মুম্বই'এর মতো মহানগরীগুলির সাধারণত যানজটে ভরা রাস্তাগুলিও জনশূ্ন্য৷ এবং শুধু এখানেই নয়... দক্ষিণের কেরালা রাজ্যে বহু জেলে মাছ ধরতে যায়নি৷ রিকশা চালকরা যাত্রী না তুলে কোনো নিখরচার টেলিভিশনের সামনে গিয়ে জুটেছে৷
আর খেলা জেতার পরে আনন্দের জোয়ার? পত্রিকাটি লিখছে:
সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাফল্যের পর গোটা জাতি যেন একটা ঘোরে ছিল৷ এবার তাদের মানসিক অবস্থা বর্ণনা করার জন্য নতুন সব শব্দসমষ্টি উদ্ভাবন করতে হবে৷
ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং কিন্তু সবশেষে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে:
আগামীতে ক্রিকেট নির্দ্বিধায় ভারতের পয়লা নম্বর স্পোর্ট থাকবে৷ কিন্তু বর্তমানে তরুণ ভারতীয়রা ক্রমেই আরো বেশি করে যে একমাত্র আন্তর্জাতিক খেলাটির দিকে ঝুঁকছে, তার নাম ফুটবল৷ সেক্ষেত্রে সমস্যা হল, ভারতীয় ফুটবল সবে পেশাদারিত্বের সূচনায়৷ ফুটবলে এশিয়ায় একটি শক্তি হয়ে উঠতে ভারতের নিঃসন্দেহে দশ বছর কি তার বেশি সময় লাগবে৷... ওদিকে মুম্বই'এর যে শিবাজী পার্কে কিশোর তেন্ডুলকর এককালে ব্যাট হাতে করতে শেখেন, সেখানে আজ শিশুরা ফুটবল খেলে... ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর জার্সি গায়ে চড়িয়ে মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো কি রুনি'র স্বপ্ন দেখে৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ