ক্রসোঁ কিনতে গুণতে হলো চার লাখ মার্কিন ডলার
৫ জানুয়ারি ২০১১তাইওয়ানের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘অ্যাপল ডেইলি' তাই বেশ মজা করেই শিরোনাম করেছে ‘‘ফরাসি এই প্রায় অর্ধ চন্দ্রাকার রুটি এতোটাই সুস্বাদু যে মানুষকে কাঁদিয়ে ছাড়ে৷’’ এতে প্রতারণার শিকার ব্যক্তির শেষ নাম বলা হয়েছে চিউ৷ এতে বলা হচ্ছে, সুস্বাদু এই ক্রসোঁর জন্য ক্যাশ মেশিন থেকে বেকারি প্রতিষ্ঠানকে ৯৯ তাইওয়ানি ডলার পাঠান চিউ৷ যা প্রায় তিন মার্কিন ডলারের সমান৷ কিন্তু চিউকে ফোন করে বলা হয় যে, তিনি কোন ভুল করেছেন তাই তাঁকে আবারো ক্রসোঁর দাম পরিশোধ করতে হবে৷ তিনি আবারও ক্রসোঁর দাম দেন৷
কিন্তু এরপরও ফোন আসে৷ নিজেকে একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তাঁকে আবারও টাকা পাঠাতে বলে কেউ৷ এরপরের ফোনে দাবি করা হয় যে, মনিটরি সুপারভিশন কমিশন থেকে ফোন করা হয়েছে৷ এবারও তাঁকে বলা হয়, কোন ভুল করেছেন তিনি৷ যেকারণে তাঁকে আবার টাকা পাঠাতে হবে৷ নতুবা অর্থ পাচারের অভিযোগ উত্থাপন করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এভাবে সাত দফা টাকা পাঠান চিউ৷ তা শেষমেষ হিসাব করে দেখা গেছে, তিনি পাঠিয়েছেন মোট এক কোটি বিশ লাখ তাইওয়ানি ডলার৷
এরপর তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি আসলে প্রতারণার শিকার৷ তবে বড্ড দেরিতে৷ তাইওয়ানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ টেলিফোনে এমন প্রতারণার শিকার হন৷ যদিও সেখানকার মানুষকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশটির পুলিশ বিভাগ৷ জাতীয় পুলিশ প্রশাসনের তথ্য মতে, ২০০৪ সাল থেকে প্রতারণা ঠেকাতে চালু করা হটলাইনে অভিযোগ এসেছে ৩৭ লাখ৷ এগুলোর মধ্যে ৪৮ হাজার মামলা আমলে নিয়ে সেগুলোর একটা বিহিত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ বাহিনী৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক