1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যোলারের ভারত সফর সমাপ্ত

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোলার তাঁর এক সপ্তাহ ব্যাপী ভারত সফর সমাপ্ত করেছেন৷ ভারতে ব্যাপক দারিদ্র্যকে তিনি সামাজিক বিস্ফোরক বলে অভিহিত করেন, এবং ভারতের প্রতি বিশ্ব আর্থিক বাজারে অংশীদার হবার আহ্বান জানান৷

https://p.dw.com/p/LvA3
শনিবার মহারাষ্ট্রের দারেওয়াডি গ্রামে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সস্ত্রীক প্রেসিডেন্ট ক্যোলারছবি: dpa

বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কট ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বিশেষ রুখতে পারেনি৷ তার কারণ, ভারত তার আর্থিক বাজার এখনও পুরোপুরি উন্মুক্ত করেনি, বলে ক্যোলার গত শুক্রবার মুম্বই'তে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর মন্তব্য করেন৷ ক্যোলার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তাব্যক্তিরা এ-বিষয়ে একমত যে, এই সঙ্কট থেকে শিক্ষা নিতে হবে৷

অপরদিকে দরিদ্র মানুষদেরও যে দেশটির বিপুল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে লাভবান হওয়া উচিৎ, ভারতীয়দের তা অজ্ঞাত নয়, বলে ক্যোলারের ধারণা৷ ভারতে ব্যাপক দারিদ্র্যে এক সামাজিক বিস্ফোরক লুকিয়ে রয়েছে৷ ‘‘আমরা ইতিহাসের বিচারে ব্যর্থ হব,'' যদি না এই মানুষদের তাদের দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা যায়, বলেন ক্যোলার৷

যৌথ স্বার্থ

ক্যোলার ভারতের প্রতি বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের অংশীদার হওয়ার পরোক্ষ আহ্বান জানান৷ তবে এখনও উন্নয়নের পর্যায়ে অবস্থানরত একটি দেশকে ভাবতে হবে যে, বর্ধিত পুঁজি দীর্ঘমেয়াদী ভাবে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, না স্বল্প মেয়াদের মুনাফার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে৷ শুক্রবার ভারত-জার্মান বাণিজ্যকক্ষের সামনে প্রদত্ত ভাষণে ক্যোলার ভারতের প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য আরো বেশী উন্মুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান৷ ভারত সর্বাধুনিক সঙ্কটে তার অভিজ্ঞতার কথা জি-টোয়েন্টি'তেও জানাতে পারে, বলে ক্যোলার মন্তব্য করেন৷ এই পন্থায় ভারত ‘‘আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারের জন্য নিয়মাবলী প্রভাবান্বিত করতে পারে৷ আর্থিক বাজারগুলির আরো কড়া নিয়ন্ত্রণে এবং তত্ত্বাবধানে আমাদের যৌথ স্বার্থ আছে,'' বলে ক্যোলারের ধারণা৷

সমন্বয়কৃত সাহায্য

অপরদিকে জার্মান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় রাষ্ট্রসচিব গুড্রুন কপ বলেছেন যে, জার্মান সরকার ভারতের প্রতি উন্নয়ন সাহায্যকে আরো একত্রিত এবং সমন্বয়কৃত করতে চান৷ কারণ এই উন্নয়ন সাহায্যে শুধুমাত্র জার্মানিতেই সাতটি মন্ত্রণালয় এবং একাধিক ফেডারাল রাজ্য সংশ্লিষ্ট৷ জার্মানি জ্বালানি শক্তি, জ্বালানি সাশ্রয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং খাদ্য ক্ষেত্রগুলিতে সক্রিয়, বলে কপ মুম্বই'তে সাংবাদিকদের জানান৷ ভারত জার্মানি থেকে মোট ৩৬০ মিলিয়ন ইউরো উন্নয়ন সাহায্য পেয়ে থাকে৷ জার্মান উন্নয়ন সাহায্যের তালিকায় আফ্রিকা এবং ভারত অন্যতম, বলে কপ জানান৷ ভারতে আলাপ-আলোচনায় তাঁর মনে হয়েছে যে, ভারত আরো বেশী মনোযোগ চায়৷ অপরদিকে জার্মানির কামনা যে, ভারত তার নিজের তাৎপর্য উপলব্ধি করে, আন্তর্জাতিক আলাপ-আলোচনায় আরো বেশী ভাবে এবং গঠনমূলকভাবে অংশ নিক - বলেন কপ৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক