ক্যামেরার চোখে ইরান
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউট বা মাক্সম্যুলার ভবনের উদ্যোগে শহরের গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ানে শুরু হয়েছে তিন সপ্তাহের এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী৷ এ ছবিঘরে থাকছে তারই নানা দিক৷
কলকাতায় ১৪ জন ইরানি
কলকাতার গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউট বা মাক্সম্যুলার ভবনের উদ্যোগে শহরের গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ানে শুরু হয়েছে তিন সপ্তাহের এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী৷ ‘দ্য ইরান ইস্যু’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে আছে ১৪ জন প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিশ্রুতিবান ইরানি আলোকচিত্রীর স্বদেশে এবং দেশের বাইরে তোলা ছবি৷
থ্যের পুনর্নির্মাণ
ইরানের আলোকচিত্রে একটা বহু পুরনো প্রবণতা তার তথ্যচিত্রধর্মিতা৷ সেই ধারাকেই উপজীব্য করে আজাদে আখলাগি এবং মেহেদি বাকেরি নামে দুই ইরানি আলোকচিত্রী এক অভিনব ধারার জন্ম দিয়েছেন, যেখানে কোনো একটা উত্তেজক দৃশ্যের পুনর্নির্মাণ করে তার ছবি নেওয়া হয়৷ ওঁদের এই নাটকীয় সিরিজের নাম, বাংলায় বললে, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী৷
চানঘরের ছবি
আরেকটি অভিনব এবং চমকপ্রদ শৈলী আরাশ ফেশারাকির৷ তাঁর তোলা অন্দরমহলের স্মৃতি শীর্ষক সিরিজে ডিজিটাল ফটোগ্রাফির সঙ্গে সুন্দর মিশেল হয়েছে হাতে আঁকা স্কেচের৷ সঙ্গের ছবিটির শিরোনাম – ‘চানের ঘর’৷
বৈপরিত্যের তেহরান
আজকের তেহরান শহরের যে দৃশ্যগত পরস্পরবিরোধিতা, সেটাকেই ধরতে চেয়েছেন রেজা নাজি৷ তাঁর ভাষ্যে, দৃশ্যগুলো এক ধরনের অসঙ্গতি তৈরি করে যা অস্বস্তিকর৷
যুদ্ধের পর
ইরানি আলোকচিত্রী মজিদ সঈদি ২০০১ সালে যান আফগানিস্তানে৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে যে জীবন তাঁর ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, তা যন্ত্রণা দেয়৷ এক কিশোর পরিবারের বাকিদের সঙ্গে আফিমের নেশায় বুঁদ, দুই কিশোরী একটি কৃত্রিম হাত নিয়ে খেলছে – যার মধ্যে আর যাই হোক কোনও শৈল্পিক সুষমা নেই!