1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আপাতত সরকারের সংকট কাটলো

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তাঁর পদ খোয়ালেন৷ কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর পদোন্নতিও হলো৷ ফলে চারিদিক থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ম্যার্কেল ও তাঁর জোট সরকারের নেতারা৷

https://p.dw.com/p/357pA
জার্মানির গোয়েন্দা প্রধান মাসেনের প্রতি সমর্থনে অটল রইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার
ছবি: picture-alliance/dpa/B. von Jutrczenka

সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না – জার্মানির জোট সরকার তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এমনই এক সমাধানসূত্রের খোঁজ করছিল৷ তিন শরিক দল নিজেদের মুখরক্ষা করতে মঙ্গলবার এমনই এক সমঝোতায় পৌঁছালো৷ বিশেষ করে এসপিডি দলের দাবি মেনে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হান্স গেয়র্গ মাসেনকে বিদায় নিতে হলো৷ কেমনিৎস-কাণ্ডের পর তাঁর বিতর্কিত ভূমিকার জোরালো সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল৷

প্রকাশ্যে না বললেও চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সিডিইউ দলও এমনটাই চাইছিল৷ অন্যদিকে বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের প্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার এই দাবির বিপক্ষে ছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত মাসেনকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিযুক্ত করে তিনিও নিজের মুখরক্ষা করতে পারলেন৷ ফলে আপাতত সরকারের মধ্যে সংকট দূর হলো৷ বাভেরিয়া রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের শরিক দলগুলি ১১ দিন ধরে সংকটের পর অনেকটা বাধ্য হয়ে এমন আপোশ মীমাংসা করতে বাধ্য হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে৷

কিন্তু শাস্তির বদলে পদোন্নতির এই সিদ্ধান্তের জোরালো সমালোচনা করছে অনেক মহল৷ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে আস্থা হারানো সত্ত্বেও মাসেনকে নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ বিরোধী সবুজ ও বাম দল এমন পদক্ষেপের জোরালো সমালোচনা করেছে৷ বাম দলের মতে, এর ফলে জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষতি হবে৷ সরকারের শরিক দল হিসেবে এসপিডি কীভাবে এমন আপোশ মীমাংসা মেনে নিলো, তা নিয়েও ঘরে-বাইরে প্রশ্ন উঠছে৷ মাসেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করা সত্ত্বেও কীভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ একমাত্র চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল বিতর্কের শুরু থেকে মাসেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে৷

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জার্মানির চরম দক্ষিণপন্থি শক্তি আখেরে ফায়দা তুলবে বলেও মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক৷ কেমনিৎস শহরে বিদেশি বিদ্বেষের ঘটনাকে কিছুটা লঘু করে দেখিয়ে তাদের প্রতি প্রচ্ছন্ন সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, এমন সমালোচনা সত্ত্বেও মাসেন নিজের ভুল স্বীকার করেননি৷ এএফডি দলও তাঁর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে আসছে৷ ২০১৫ সালে শরণার্থীদের ঢলের মুখে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল যে ‘উদার' নীতি গ্রহণ করেছিলেন, মাসেন এর আগেও তার সমালোচনা করেছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য