কে ছিনিয়ে নেবে ইউরোভিশন ২০১৮?
১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপীয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন আয়োজন করে আসছে গানের প্রতিযোগিতা ‘ইউরোভিশন’৷ খেলাধুলার বাইরে সবচে’ বেশি দেখা টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইউরোভিশন৷ প্রতিযোগিতাটিতে এবারের ‘ফেবারিট’ কারা? দেখুন ছবিঘরে৷
মিকোলাস ইয়োসেফ (চেক প্রজাতন্ত্র)
চেক প্রজাতন্ত্রের মিকোলাস ইয়োসেফ-এর গাওয়া ‘লাই টু মি’ ইলেক্ট্রো-হিপ-হপ গানটি এবারের ইউরোভিশনের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে৷ প্রথমবারের মতো চেক রিপাবলিক এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে আসতে পেরেছে৷ তাই জিতে গেলে অবাক হবেন না৷
রিয়ান ওগসনোসি (আয়ারল্যাণ্ড)
এই গানটির ভিডিওতে ডাবলিনের রাস্তায় দুই যুবককে নাচতে দেখা যায়৷ সৌম্য ও হালকা, ধীরলয়ের এই গানটি আয়ারল্যান্ডের ৩৩০ গানের মধ্যে থেকে বাছাই করা হয়েছে ইউরোভিশন প্রতিযোগিতার জন্য৷ এর মধ্য দিয়ে আয়ারল্যান্ড ৯০ দশকে তাদের ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় গানের ধারায় ফিরে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷
সেনেক (বেলজিয়াম)
প্রতি বছরই বেলজিয়াম নতুন নতুন চমক দেয়৷ এ বছরও বেলজিয়ামের গান ‘ম্যাটার অফ টাইম’ নিয়ে ইউরোভিশন প্রতিযোগিতায় হাজির হয়ে সেনেক৷ এই গানটি নিয়ে প্রথমে তেমন কিছু মনে না হলেও, পরে শুনতে গিয়ে হঠাৎ ভলো লেগে যেতে পারে৷ এক কথায় বলা যেতে পারে দারুণ গান!
মিশায়েল শুলট (জার্মানি)
মৃত প্রেয়সীকে স্মরণ করে গাওয়া মিশায়েল শুলটের ‘ইউ লেট মি ওয়াক অ্যালোন’ গানটির কথা অসম্ভব শক্তিশালী৷ তাই গানটি শোনার সময় চোখে সত্যিকার অর্থেই পানি চলে আসে৷ তাছাড়া এই গানের মধ্যে এমন একটি বার্তা আছে, যা প্রত্যেকে মনন থেকেঅনুধাবন করতে পারবে৷ মিশায়েল শুলট একজন পেশাদার এবং তাঁর কাজের সমালোচনা করা সত্যিই কঠিন৷
এডাব্লিউএস (হাঙ্গেরি)
জার্মানির ভাকেন শহরে অনুষ্ঠিত হেভি মেটাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালে রোজকার অতিথি হাঙ্গেরিয়ান ব্যান্ড এডাব্লিউএস৷ পাঁচজনের এই দলটি দর্শক ও শ্রোতাদের মধ্যে তাঁদের উঁচু গলার রক সংগীত দিয়ে রীতিমত বোমা ফাটায়৷ এমনই সেই আওয়াজ যে, অনুষ্ঠান শেষে আপনি কিছুক্ষণ কানেও শুনবেন না, চোখেও দেখবেন না৷ তবে গানটির ভিডিওতে রয়েছে আনন্দময় মিউজিক, বাচ্চাদের খেলাধুলা আর হাসিহাসি মুখ৷
নেত্তো (ইসরায়েল)
নেত্তো সেই শিল্পী যিনি শব্দ বা নিছক গর্জন দিয়েও গান করতে পারেন৷ একটা গানে কোঁত দেওযা থেকে শুরু করে নাকের ব্যবহার পর্যন্ত করেছেন তিনি৷ সবকিছু যেন উদার করে দিয়েছেন গানে৷ গানের শুরুর টোনে কিছুটা ধাক্কা খেতে হলেও, পরে ধীরে ধীরে গানটি সুরেলা লাগে৷ নেত্তোর গান ‘টয়’ একটি দৃঢ়চেতা নারীর গান, যাঁর কখনও কখনও বিকল্প কিছু দরকার হয়৷ ‘টয়’ গানের একটি দুর্দান্ত লাইন হচ্ছে – ‘আই আম নট ইউর টয়, ইউ স্টুপিড বয়’৷
আলেকজান্ডার রিবাক (নরওয়ে)
‘দ্যাটস হাউ টু রাইট আ সং’ – টাইটেলই বলে দেয় গানের সারমর্ম৷ দারুণ পপ মিউজিকের সাথে গানটি এ বছরের গ্রীষ্মকালীন গান হিসেবে জনপ্রিয়তা পেতেই পারে৷ গানটি শোনার সময় চুপচাপ বসে থাকা কঠিন৷ হ্যাঁ, শরীর নেচে উঠবেই৷ ভালো বেহালা বাদক রিবাক ২০০৯ সালের বিজয়ী ছিলেন৷ এ বছর ইসরায়েলের নেত্তোর সাথে তাঁর জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷