কেশসজ্জার বিশ্বকাপ
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট যেন কেশশিল্পীদের তীর্থভূমি৷ মে মাসের শুরুতেই সেখানে বসেছিল কেশসজ্জার প্রতিযোগিতা ‘ওএমসি হেয়ারওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ডকাপ’, যাতে এক হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন সেরা হওয়ার লড়াইয়ে৷
বিশ্বসেরা
তিন দিনের এ প্রতিযোগিতার শেষদিন সোমবার ৩৮টি শাখায় বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় বিশ্বসেরার পুরস্কার৷ এর মধ্যে তিনটি শাখায় দলগতভাবে সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছেন জার্মানির প্রতিযোগীরা৷
কনের চুলের সাজ
৫০টি দেশের প্রতিযোগীরা এ প্রতিযোগিতায় এসেছিলেন কেশসজ্জার বিচিত্র সব ‘স্টাইল’ নিয়ে৷ যে সব শাখায় প্রতিযোগিতা হয়েছে, তার মধ্য কনের চুলের সাজ যেমন ছিল, তেমনি ছিল বেড়াতে যাওয়ার চুলের সাজ বা প্রতিদিনের কেশসজ্জা৷
রূপেরও প্রদর্শনী
কেশসজ্জার এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ফ্রাঙ্কফুর্টে আয়োজন করা হয়েছিল ‘হেয়ার অ্যান্ড বিউটি শো’ শিরোনামে কেশসজ্জার প্রদর্শনী৷ বিশ্বের সেরা হেয়ার ড্রেসাররা এই প্রদর্শনীতে এসেছিলেন তাদের নতুন সব পণ্য এবং কেশসজ্জার নতুন নতুন ধারণা নিয়ে৷
‘সামার কাট’
ঝরঝরে ছোট চুল রাঙান সোনালী রংয়ে৷ এবারের গ্রীষ্মে এটাই জার্মান ফ্যাশন৷ এমন চুল ধোয়াও সহজ৷
মডেল অথবা ম্যানিকুইন
প্রতিযোগীদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের হাতের জাদু দেখিয়েছেন জলজ্যান্ত মডেলের চুলে চিরুনি-কাঁচি চালিয়ে৷ কেউ আবার ম্যানিকুইনের মাথায় দেখিয়েছেন তাদের শিল্প প্রতিভা৷ প্রতিযোগীদের এই শিল্পের বাহার মাথায় নিয়ে মডেলরা হেঁটেছেন ব়্যাম্পে৷ এ সব দেখেই জুরিরা বিচার করেছেন, কার কেশসজ্জা সবার সেরা৷
কালো-লাল-সোনালী
এই বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার আগে জার্মান জাতীয় দলের হেয়ারড্রেসাররা টানা কয়েক মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷ ৩২ জনের এই দলকে শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন ফ্রানৎস ইয়োসেফ ক্যুভেলার৷ তিনি নিজেও ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে পুরস্কার জিতেছিলেন৷