কেন পেনাল্টি পেল না নাইজেরিয়া?
পেনাল্টি বক্সে যাঁর হাতে বল লাগার কারণে পিছিয়ে যেতে পারতো আর্জেন্টিনা, হয়ত ম্যাচটাই হারতো, সেই মার্কোস রোহোর গোলেই শেষ পর্যন্ত জিতলো তারা৷ পেনাল্টি কেন দিলেন না রেফারি আর ম্যাচটাই বা কেমন ছিল, চলুন দেখে নিই ছবিঘরে৷
মেসির হলো শুরু
প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস, এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকার পর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে যেন আপন মূর্তিতে ফিরেছিলেন মেসি৷ ১৪ মিনিটে ডান পায়ের কোণাকুনি শটে গোল দিয়ে আর্জেন্টাইন দর্শকদের কিছুটা স্বস্তি এনে দেন তিনি৷
নাইজেরিয়ার ডিগবাজি
দ্বিতীয়ার্ধে মরীয়া হয়ে খেলতে শুরু করে নাইজেরিয়া৷ ৫১ মিনিটে একটি কর্নারের সময় লিওন বালোগুনকে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মাসচেরানো পেছন থেকে ধরে রাখায় রেফারি পেনাল্টি দেন৷ তাঁর শটে বল জাল ছোঁয়ার পর শূন্যে ডিগবাজি দিয়ে উদযাপন করছেন ভিক্টর মোজেস৷
হোর্হে সাম্পাওলির দিন
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারার পর দলের কোচ সাম্পাওলি বলেছিলেন, তাঁর কৌশল কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে খেলোয়াড়রা৷ বাজারে জোর গুজব ছিল তৃতীয় ম্যাচের আগেই সাম্পাওলিকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তুলেছেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা৷ সেই সাম্পাওলি কাল বলেছেন, তাঁর খেলোয়াড়রা হৃদয় দিয়ে ফুটবল খেলেছেন৷ তবে ছবিটি ম্যাচে নাইজেরিয়ার কাছে গোল খাওয়ার পরপরই তোলা৷
পরিশ্রমী মেসি
কখনো নীচে নেমেছেন, কখনো উপরে উঠেছেন৷ বল বানানোর চেষ্টা করেছেন৷ সারা মাঠ জুড়ে খেলে টানা ঘাম ঝড়িয়েছেন৷ হিগুয়েইন এবং ডি মারিয়ার কাছ থেকে ততটা সহায়তা পাননি৷ কিন্তু নাইজেরিয়ার বিপক্ষে পরিশ্রমী মেসি যেন জয় ছিনিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন৷
ভিলেন নয়, হলেন নায়ক
৭২ মিনিটে বক্সের বেশ দূর থেকে শট নেন নাইজেরিয়ার খেলোয়াড় উইলফ্রেড এনদিদি৷ পেনাল্টি বক্সের ভেতরে বলটি হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডিফেন্ডার রোহোর মাথা ছুঁয়ে লাগে হাতে৷ কিন্তু ভিআর টেকনোলজি ব্যবহার করেও তুরস্কের রেফারি পেনাল্টি দেননি৷ পরে সেই রোহোই ৮৬ মিনিটে গোল করে এবারের মতো আর্জেন্টিনাকে খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে আনেন৷
পেনাল্টি বিতর্ক
ডি বক্সের ভেতর রোহোর হাতে বল লাগা সত্ত্বেও পেনাল্টি না দেওয়া দিয়ে চলছে বিতর্ক৷ তবে ফিফার হ্যান্ডবলের নিয়মটা হচ্ছে – বল যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতে লাগে এবং খেলোয়াড়ের হাতের গতিবিধি বলের বিপরীতে না থাকে, তবে হ্যান্ডবল হবে না৷ তবে এই বিশ্বকাপেই স্পেনের বিপক্ষে ইরান একটি পেনাল্টি পেয়েছে, যার ধরন ঠিক রোহোর বির্তকিত হাতে বল লাগার ঘটনার মতোই ছিল৷
খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস
স্বস্তির গোলের পর রোহো-কে নিয়ে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস৷ সচরাচর উদযাপনে কৃপণ মেসিও নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি৷
মাঠের বাইরে মারাদোনা
মাঠের ভেতরে ছিলেন তারকা মেসি, গ্যালারিতে মারাদোনা৷ খেলা না দেখে সাবেক এই আর্জেন্টাইন তারকার চেহারা টিভিতে দেখালেও, মাঠে কী হচ্ছে তা অনায়াসেই বোঝা যেতো৷ মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তিত হয়েছে মারাদোনার চেহারা৷ শেষটায় মেতেছেন উল্লাসে৷ কোনো সন্দেহ নেই, এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় দর্শক ছিলেন তিনিই৷