1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুন্দজে পাথর ছুড়ে হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দেবে পুলিশ

২৮ জানুয়ারি ২০১১

আফগানিস্তানে পাথর ছুঁড়ে এক যুগলকে হত্যা করার দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের কাঠগড়ায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ৷ অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে তালেবানি পদ্ধতিতে গত বছর তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো৷

https://p.dw.com/p/106JB
Taliban, afghanistan, picture, militants, তালেবান, নিয়ন্ত্রিত, কুন্দুজ, হত্যাকাণ্ড, পুলিশ, আফগানিস্তান, অবৈধ সম্পর্ক,
তালেবান নিয়ন্ত্রিত কুন্দুজে ঘটেছিল এই নির্মম হত্যাকাণ্ডছবি: dpa

মোবাইলে তোলা ভিডিও ফুটেজ নজর কাড়লো সবার৷ সেখানেই দেখা গেলো কিভাবে, কারা নৃশংসভাবে একের পর এক পাথর ছুঁড়ে হত্যা করেছিলো সেই যুগলকে৷ আর তা হাতে পাওয়ার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে আফগান পুলিশ৷ আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান জেনারেল দাউদ দাউদ বলেছেন, ছবি দেখে দোষীদের সহজেই সনাক্ত করা যাচ্ছে৷ ঐ এলাকায় অবিলম্বে বিশেষ তদন্তকারী দল পাঠানো হবে৷

ঘটনাটি ঘটেছিলো উত্তর আফগানিস্তানের কুন্দজ প্রদেশের দাস্তে আর্চি জেলায়৷ তালেবান শাসিত ঐ এলাকায় গত বছর আগস্ট মাসের সেই হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো কয়েক'শ মানুষ৷ ভিডিও চিত্রটির শুরুতেই দেখা যায়, কোমর পর্যন্ত গর্তের মধ্যে মাটিতে দাড়িয়ে আছে পঁচিশ বছরের সিদ্দিকা৷ বোরকায় তাঁর সারা শরীর ঢাকা৷ গ্রামের শতশত মানুষের সামনে তালেবান যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে দু'জন মোল্লা তাঁদের দন্ডাদেশ কার্যকর করে৷ একের পর এক পাথর এসে পড়তে থাকে সিদ্দিকার মাথায় এবং শরীরে৷ তাঁর নীল বোরকা রক্তে লাল হয়ে যায়৷ এক সময় তিনি হামাগুড়ি দিয়ে গর্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি গর্তে লুটিয়ে পড়েন৷ আশ্চর্যজনকভাবে তারপরও বেঁচে ছিলেন তিনি৷ তখন মোল্লাদের বলতে শোনা যায়, তাকে একা ফেলে চলে আসার কথা৷ কিন্তু তখন তালেবান যোদ্ধারা সামনে এগিয়ে যায়৷ এবং তাকে তিনবার গুলি করা হয়৷

তারপর সিদ্দিকার প্রেমিককে আনা হয় জনসম্মুখে৷ পেছনে শক্ত করে বাঁধা ছিলো তাঁর হাত৷ তাকে আরও নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করা হয়৷ তাঁর চিৎকার শোনা যায়৷ কিন্তু একটু পরেই নিশ্চুপ হয়ে যান৷

ঐ যুগল ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলো পাকিস্তানে৷ কিন্তু তাঁদের কোনো ক্ষতি করা হবেনা এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছিলো৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়