কিরঘিজস্তানে নিহতদের স্মরণে শোক দিবস
৯ এপ্রিল ২০১০কিরঘিজস্তানে কয়েকদিনের তুমুল বিক্ষোভে নিহতদের স্মরণে শুক্রবার সেখানে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়৷ তুমুল বিক্ষোভে দেশটির প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভ রাজধানী ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন৷
বিক্ষোভ আন্দোলনে অন্তত ৭৫ জন প্রাণ হারান৷ আহত হন শতাধিক৷ নিহত কয়েকজনের শেষকৃত্য শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সরকার পতনের পর দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিরোধী নেত্রী রোজা ওটুনবায়েভা৷ প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভ রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে গেলেও পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন৷ এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বাকিয়েভ বলেছেন, দেশত্যাগের কোন পরিকল্পনা তাঁর নেই৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি বর্ষণের নির্দেশ তিনি দেননি৷ তবে তিনি বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রেখেছেন৷এদিকে স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ওটুনবায়েভা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের সঙ্গে আলোচনার কোন পরিকল্পনা তাঁর নেই এবং একই সঙ্গে ওটুনবায়েবা বাকিয়েভের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন৷
কিরঘিজস্তানে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার প্রধান সামরিক ঘাঁটি রয়েছে৷ সেখান থেকে ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে৷ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপ প্রধান আলমাবেক আতমবায়েভ অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে কথা বলতে মস্কো গেছেন৷
বুধবারের সংঘাতে নিহতদের স্মরণে শুক্রবার হাজার হাজার শোকাহত মানুষ রাজধানী বিশকেক শহরের কেন্দ্রস্থলের চত্বরে সমবেত হন৷ এই সময় অনেকেই হতাহতের ঘটনার জন্যে বাকিয়েভকে দায়ী করেন৷ অনেকেই বলতে থাকেন, বাকিয়েভের বিচার করতে হবে এবং এইসব অপরাধের জন্যে তার ফাঁসি চাই৷ সাধারণ জনতার বক্তব্য, আমরা বাকিয়েভকে ক্ষমা করবো না, কারণ এটা আমাদের বিপ্লব৷
এদিকে দেশটির স্বনিযুক্ত সরকার পক্ষের আইনজীবী বাইতেমির ইব্রায়েভ ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের ছেলে ম্যাক্সিম এবং ভাই জানিবেক ওমারাতের বিরুদ্ধে অপরাধ মামলা দায়ের করেছেন৷
প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়