1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কায়রোর আলোচনায় কোন আশা মিললো না

১৯ জুলাই ২০১০

মিশরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার৷ তবে তেমন কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি৷ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিলেও ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে সে ব্যপারে সাড়া মেলেনি৷

https://p.dw.com/p/OOYq
Egyptian President Hosni Mubarak, Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu
মিশরের প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে করমর্দনছবি: AP

মিশরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার৷ তবে তেমন কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি৷ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিলেও ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে সে ব্যপারে সাড়া মেলেনি৷

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করে আসছে মিশর৷ তাই মিশরের রাজধানী কায়রোতে গিয়ে হাজির হলেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নেতৃবৃন্দ৷ সেখানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত জর্জ মিচেল৷ কিন্তু কারো সঙ্গে কারো মুখোমুখি দেখা সাক্ষাৎ হলো না৷ প্রত্যেক নেতাই আলাদা আলাদাভাবে মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মার্কিন দূত জর্জ মিচেল প্রথমে প্রেসিডেন্ট মুবারকের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ প্রায় ঘন্টাখানেক পর তিনি বের হন, তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা না বলেই চলে যান৷ এর কিছুক্ষণ পরই ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের গাড়ি বহর এসে পৌঁছে সেখানে৷ তিনিও হোসনি মুবারকের সঙ্গে আধ ঘন্টা ধরে বৈঠক করেন৷ তাঁর চলে যাওয়ার পরপর সবশেষে এসে পৌঁছোন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ বৈঠক সম্পর্কে কোন নেতাই মুখ খোলেননি৷ কেবল মিশরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মোবারক তিন নেতার সঙ্গেই শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া এবং একটি দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে পৌঁছার ওপর জোর দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে ফিলিস্তিনিদের আস্থা অর্জনের জন্য ইসরায়েলকে একটি কার্যকর জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে৷ এর পাশাপাশি সরাসরি আলোচনার জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক৷

Palestinian President Mahmoud Abbas
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসছবি: AP

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় সরাসরি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে ফিলিস্তিনের এই ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে৷ ইসরায়েল তার দখল করা জায়গাগুলোতে বসতি নির্মাণ পুরোপুরি বন্ধ না করা পর্যন্ত সরাসরি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷ এদিকে আরব লীগের প্রধান আমর মুসাও জানিয়েছেন ইসরায়েলের কাছ থেকে লিখিত গ্যারান্টি না পাওয়া পর্যন্ত সরাসরি আলোচনায় বসবে না ফিলিস্তিন৷ মার্কিন বিশেষ দূত জর্জ মিচেলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একই কথা জানান আমর মুসা৷ উল্লেখ্য, এর আগে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় আরব লীগ মধ্যস্থতা করলেও ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের কারনে তারা পিছিয়ে যায়৷

এদিকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার ব্যাপারে তেমন আশাব্যঞ্জক কিছু না পাওয়া গেলেও মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আহমেদ আবুল ঘাইত বলেছেন যে তাঁরা সবগুলো পক্ষের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যাপারে এখনও আশা ছাড়েননি৷ তিনি আরও জানিয়েছেন যে ইসরায়েলের দাবি তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালো প্রস্তাবই দেবে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম