কালী বিসর্জনের উৎসব, উধাও করোনাবিধি
দুর্গাপুজোর পর পশ্চিমবঙ্গে করোনা বাড়তে শুরু করেছে। তবুও হুঁশ নেই মানুষের। কালীঠাকুর বিসর্জনেও মানা হলো না করোনাবিধি।
বিসর্জনের ভিড়
সরকার রাত ১১টা থেকে নাইট কার্ফিউ ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিসর্জন হয়েছে ভোররাত পর্যন্ত। হাজার হাজার মানুষ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছেন।
মাস্ক কই
বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।
পুলিশের নাকের ডগায়
বিসর্জন উপলক্ষে রাস্তায় প্রচুর পুলিশ ছিল। তারা ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণেই ব্যস্ত ছিল। করোনাবিধি নিয়ে কাউকে সতর্ক করা হয়নি।
বিসর্জনের জলসা
কলকাতায় বরাবরই বিসর্জনের শোভাযাত্রা বর্ণাঢ্য হয়। ঢাকিরা এভাবেই বাজনা নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেন। করোনাকালেও তার অন্যথা হলো না।
শিশুরাও রাস্তায়
অ্যামেরিকায় শিশুদের করোনা হচ্ছে। ডাব্লিউএইচও ভারতকেও এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের হুঁশ নেই। মাস্ক ছাড়া এভাবেই শিশুদের শোভাযাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শোভাযাত্রায় বালক-কিশোররাও
করোনাবিধির তোয়াক্কা না করে বালক এবং কিশোররাও এভাবে যোগ দিয়েছে উৎসবে। কেউ কোনো নিয়মের ধার ধারেনি।
বিসর্জনের ছবি
গঙ্গায় প্রায় ভোর পর্যন্ত চলেছে বিসর্জন। সাধারণত বিসর্জনের কিছুক্ষণের মধ্যে ক্রেন দিয়ে কাঠামো তুলে ফেলা হয়। গঙ্গাদূষণ এড়াতে। কিন্তু এবারের বিসর্জনে দেখা গেল, সে কাজও ঢিলেঢালা।
হেলমেট কই
অতি উৎসাহীর দল এভাবে হেলমেট ছাড়া মাস্ক ছাড়া বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। পুলিশও কিছু বলেনি।
বাড়ছে করোনা
পশ্চিমবঙ্গে এখন দিনে প্রায় সাতশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। নাইট কার্ফিউ শুরু করলেও প্রশাসন উৎসবের সময় কড়া হতে পারেনি। করোনাবিধি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতনও করতে পারেনি।