1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কানকুনে শুরু হচ্ছে আশা-নিরাশার জলবায়ু সম্মেলন

২৮ নভেম্বর ২০১০

সোমবার মেক্সিকোর কানকুন শহরে শুরু হচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন৷ এতে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ প্রতিনিধি সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছেন৷ গত বছর কোপেনহেগেন বৈঠকের ব্যর্থতার পর এতে সফলতা আসবে এমন আশাবাদ নেই৷

https://p.dw.com/p/QKNp
কানকুন, বিশ্ব, জলবায়ু, সম্মেলন, লোগো, Klimagipfel, Cancun Mexiko, 2010, Logo
কানকুনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের লোগো

নিরাপত্তার চাঁদোয়ায় ঢাকা

মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরাপত্তা৷ গত বেশ কয়েক বছর ধরে মাদক চোরাচালানিদের সিন্ডিকেটের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ হাজার হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে সেখানে৷ সেই দেশের কানকুন শহরে আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন৷ তবে মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, এই সম্মেলনে আগত সকল প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে৷ বাড়তি নিরাপত্তার চাঁদোয়ায় ঢেকে দেয়া হয়েছে কানকুনকে৷


ফলাফল আসবে... আশাবাদ নেই

ইতিমধ্যে ১২ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনের ফলাফল আসবে, এমন বিষয়ে তেমন আশাবাদী নন অনেকে৷ তারা মনে করছেন ইউএনএফসিসিসি'র অধীনে মেক্সিকোর কানকুনে অনুষ্ঠিতব্য বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বড় ধরনের কোনো সাফল্য আসবে না৷ তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজনে সমর্থন জোগাতে 'সবুজ তহবিল'গঠনের ক্ষেত্রে ওই সম্মেলনে সাফল্য আসতে পারে বলেই মত তাদের৷ আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন৷

অঙ্গীকার কিন্তু....

উন্নত দেশগুলো কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনে একটি 'সবুজ তহবিল' গঠনে সম্মত হয়েছে৷ যার অধীনে উন্নত ওই দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন কার্যক্রমে ২০১০ থেকে ২০১২ সালের জন্য ৩ হাজার কোটি ডলার এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০২০ সাল নাগাদ ১০ হাজার কোটি ডলার সরবরাহের অঙ্গীকার করেছে৷ কিন্তু এই অঙ্গীকার কিভাবে বাস্তবে রূপ নেবে, সে বিষয়ে তেমন কোন রূপরেখাই তৈরি হয়নি৷ আশা করা হচ্ছে এবারের এই সম্মেলেন এ বিষয়টিই হবে বহুল আলোচ্য বিষয়৷

যা বললেন জিয়াউল হক মুক্তা

গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে ব্যাপক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতেই হবে এমন লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এখন কানকুনে৷ এতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অক্সফামের অন্যতম শীর্ষ কর্তা জিয়াউল হক মুক্তা৷ তিনি জানালেন, 'উন্নত দেশগুলোকে তাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ওই দেশগুলোকে বোঝাতে ও পরিস্থিতি তুলে ধরতে বাংলাদেশ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে এই সম্মেলনে৷ কেবল তাই নয় বাংলাদেশ জলবায়ু সমস্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ৷ তাই এই ক্ষতি মোকাবিলা এবং গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ঠেকাতে কথা বলবে বাংলাদেশ৷ তিনি বলেন, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে ব্যাপক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করবে বাংলাদেশ৷'

কিন্তু এই সম্মেলনে তেমন কোন ফলাফল আসবে বলে মনে করেন না জিয়াউল হক মুক্তা৷ তিনি বলেন, 'তবে আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকার ডাবলিনে জলবায়ু সম্মেলনের আগে এই সম্মেলনটা আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷'

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য