কাজ বন্ধ ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে
ইরানের একমাত্র পরমাণু কেন্দ্রে আচমকাই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের বিভ্রাটের জন্য কাজ বন্ধ বলে মনে করা হচ্ছে।
হঠাৎ বন্ধ কাজ
শনিবার হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায় ইরানের একমাত্র পরমাণু কেন্দ্রে। রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল খবরে এ কথা জানিয়েছে।
সরকারের মুখে কুলুপ
কেন বন্ধ হয়ে গেল পরমাণু কেন্দ্র, তা নিয়ে সরকার কোনো বিবৃতি দেয়নি। বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মকর্তা তাভানির টেলিভিশনকে জানিয়েছেন বিদ্যুতের সমস্যার জন্য প্লান্টটি বন্ধ করা হয়েছে। আগামী তিন-চারদিন বন্ধ থাকবে।
পরমাণু কেন্দ্রের ইতিহাস
ইরানের দক্ষিণে বন্দর শহর বুশেহরে ১৯৭০ সালে এই পরমাণু কেন্দ্রটি তৈরির কাজ শুরু হয়। রাশিয়ার সাহায্যে কেন্দ্রটি তৈরির কাজ শুরু হয়।
প্রায় ৪০ বছর
২০১১ সালে পরমাণু কেন্দ্রটি কাজ করতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম রাশিয়া থেকে নিয়ে আসা হতো। এছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে রাশিয়া সাহায্য করেছে।
পরমাণু চুক্তি
২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে সই করতে বাধ্য হয় ইরান। ফলে ইউরেনিয়াম মজুতের ক্ষেত্রে রাশ টানতে বাধ্য হয় প্রশাসন। ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করে, সে দিকে নজর রাখে জাতিসংঘ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর থেকেই ইরানের সঙ্গে অ্যামেরিকার তুমুল টানাপড়েন শুরু হয়। রাশিয়া থেকে সাহায্য পাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
ইরানের হুমকি
জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরে ইরান হুমকি দেয়, অ্যামেরিকা নিষেধাজ্ঞা না তুললে ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়ানো হবে। আগের চেয়ে ইউরেনিয়ামের মজুত কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। জাতিসংঘকেও পরমাণু কেন্দ্রের খবর দেওয়া হচ্ছে না।
মার্কিন ক্র্যাকডাউন
অন্য দিকে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মার্কিন সহায়তায় ইসরায়েল এ কাজ করে থাকতে পারে। ওই ঘটনার পরে ইরান ইউরেনিয়ামের মজুত আরো বাড়িয়েছে।
আরো পরমাণু কেন্দ্র
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ইরানে আরো একটি পরমাণু কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে তৃতীয় একটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলেও জানিয়েছে ইরান।