1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে আবার লকডাউন?

২৭ অক্টোবর ২০২০

বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা করোনা মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ আগামী সপ্তাহেই দৈনিক সংক্রমণের হার ৩০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3kTf6
ছবি: Ying Tang/NurPhoto/picture-alliance

জার্মানিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলায় গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে৷ ফেডারেল কাঠামোর কারণে ম্যার্কেল এখনো গোটা দেশের জন্য কড়া বিধিনিয়ম চালু করতে পারছেন না৷ শুক্রবারের বদলে বুধবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আবার বৈঠক করে তিনি অবশেষে সেই পদক্ষেপ নিতে চান৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আগে ম্যার্কেল বিষয়টিকে ঘিরে ঐকমত্যের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷
  
এরই মধ্যে জার্মানির জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র ‘বিল্ড’ দাবি করেছে, যে ম্যার্কেল নাকি এক ধরনের ‘লকডাউন লাইট’ চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ এর আওতায় বার, রেস্তোরাঁ, প্রকাশ্যে অনুষ্ঠান ইত্যাদি বন্ধ রাখা হবে৷ তবে কিছু কড়া নিয়ম সত্ত্বেও দোকানবাজার খোলা থাকবে৷ স্কুলও বন্ধ করা হবে না৷ তবে যে সব এলাকায় সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করছে, সেখানে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে দাবি করেছে ‘বিল্ড'৷
  
এক সরকারি মুখপাত্র এই দাবি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি৷ তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিল্ড সংবাদপত্র ‘লকডাউন লাইট’ হিসেবে যে পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেছে, তা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট নয়৷ তাঁর মতে, আরও কড়া পদক্ষেপ নেবার সময় এসে গেছে৷ চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীদের শুধু সে বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে হবে৷
  
সোমবার জার্মানিতে দৈনিক সংক্রমণ ছিল সামান্য কম ৮,৬৮৫ জন৷ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পদক্ষেপ না নিলে আগামী সপ্তাহেই সেই হার ৩০ হাজার পেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ সরকারি মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট বলেন, বুধবারের বৈঠকে এই সংকট মোকাবিলায় স্পষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে বলে তিনি আশা করছেন৷

সোমবার বাভেরিয়া রাজ্যের আরও একটি জেলায় দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে৷ রোটটাল-ইন জেলায় সংক্রমণের হার মারাত্মক হারে বেড়ে চলায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ উল্লেখ্য এর আগে গত ২০শে অক্টোবর ব্যারশটেসগাডেন জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল৷
  
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ম্যার্কেলের সিডিইউ দলীয় সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে৷ ফলে ৪ঠা ডিসেম্বর মাসের বদলে আগামী বছর সভাপতি পদে ম্যার্কেলের উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন৷ আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে সেই সিদ্ধান্ত বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ নির্বাচনের পর সিডিইউ ও সিএসইউ দল সরকারের নেতৃত্ব দিলে সেই ব্যক্তি জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হবেন৷ আগামী বছরের শুরুতেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ডাকযোগে ব্যালটের মাধ্যমে সিডিইউ দলের ১,০০১ জন ডেলিগেট দলের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত করবেন৷ জানুয়ারি মাসেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
  
এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)