করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ১০০ দিন
গত ২৭ জানুয়ারি প্রথম করোনায় সংক্রমিত রোগী পেয়েছিল জার্মানি। সেই থেকে শুরু করোনাবিরোধী লড়াইয়ের ১০০ দিন হয়ে গেল। দেখুন ছবিঘরে...
প্রথম রোগী মিউনিখে
করোনা সংক্রমণের পর দীর্ঘ চিকিৎসা-পর্ব শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা রোগীটি মিউনিখের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
চীনে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ততদিনে করোনা নিয়ে আতঙ্ক জার্মানিতেও কিছুটা ছড়াতে শুরু করেছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন স্পান সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, "আমরা সতর্ক এবং প্রস্তুত আছি। আন্তর্জাতিক ও ইউরোপীয় পর্যায়ে এবং সব রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি আমরা।"
নির্বিঘ্ন প্রথম মাস
ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত জার্মানিতে জনজীবন একেবারে স্বাভাবিক ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য চলেছে। সীমান্ত খোলা ছিল। নির্বিঘ্নে এবং সফলভাবে শেষ হয়েছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বার্লিনালে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ অংশ নিয়েছেন সে উৎসবে।
মার্চেও নিশ্চিন্ত বার্লিন
বার্লিনে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২ মার্চ। জার্মানির রাজধানী শহরের যে হাসপাতলে তার চিকিৎসা হয়েছিল, সেখানকার মেডিকেল অফিসার বিষয়টিকে একেবারে পাত্তা না দিয়ে বলেছিলেন, "এটা কাকতালীয় ঘটনা।" ছবিতে মার্চে বার্লিনে অনুষ্ঠিত বুন্ডেসলিগার একটি ম্যাচের দৃশ্য৷
আসল লড়াই শুরু
মার্চ মাসে পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করে। বাতিল করতে হয় বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল ট্রাইড শো।
ম্যার্কেলের সতর্কবার্তা
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তখনো চুপ। ১১ মার্চ নীরবতা ভাঙলেন, এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় বললেন, এখনই সতর্ক না হলে জার্মানির ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে।
সীমান্ত বন্ধ, জনজীবনে বিধিনিষেধ
তারপর ধীরে ধীরে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় জার্মানি। খাদ্য সামগ্রী এবং জরুরি প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া বাকি সব দোকান, ব্যবসা পতিষ্ঠান বন্ধ করে ঘরের বাইরে চলাফেরায়ও আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। বাতিল করা হয় খেলাধুলা, সংস্কৃতিসহ সব বিষয়ের সব অনুষ্ঠান।
প্রশংসিত জার্মানি
সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও জার্মানিতে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুহার এখনো কম। এ পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ, মৃতের সংখ্যা সাত হাজারের কম। মৃত্যুহার কম রাখতে পারায় বিশ্বজুড়ে চলছে জার্মানির চিকিৎসাব্যবস্থার প্রশংসা।
বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা
তবে বন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, খুব সতর্ক না হলে সংক্রমণ দশগুণ বেড়ে ১৮ লাখ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা হয়তো দীর্ঘই হবে জার্মানিতে।