করোনায় জার্মানির জিডিপির রেকর্ড পতন
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে (এপ্রিল থেকে জুন) জার্মানির অর্থনীতির ১০.১% ভাগ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ তবে সরকারের নীতির কারণে এখনো দেশটিতে সে অর্থে কর্মী ছাটাই বাড়েনি৷
অর্থনীতিতে বিরাট ধাক্কা
বৃহস্পতিবার এ বছর এপ্রিল থেকে জুনের কিছু অর্থনৈতিক উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে৷ সেখানে দেখা গেছে, জার্মানির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে রেকর্ড পতন হয়েছে (১০.১%)৷ এমন একটি সময়ে জার্মানির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তর এই তথ্য প্রকাশ করল, যখন পুরো ইউরোপ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
১৯৭০-এর পর প্রথম
১৯৭০ সালে সবশেষ অর্থনীতির এমন পতন দেখেছিল জার্মানি৷ পরিসংখ্যান দপ্তর বলছে, করোনার কারণে এমনকি বাসাবাড়িতে ব্যয় যেমন কমেছে, তেমনি ব্যবসায় বিনিয়োগ কিংবা রপ্তানি সবকিছুতেই ধস নেমেছে কোভিড-১৯ এর কারণে৷
পরামর্শকদের ধারণা ভুল
মার্চে জার্মানির অর্থনৈতিক পরামর্শকদের প্যানেল বলেছিল যে, পুরো বছরে হয়ত জিডিপির পতন ২.৮% ভাগ হতে পারে৷ তাদের ধারণা ছিল, পাঁচ সপ্তাহের লকডাউন শেষে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে৷ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি৷
বেকারত্বের হার এখনো স্বাভাবিক
পরিসংখ্যান বলছে, এত কিছু হয়ে গেলেও এ বছর জুলাইতে বেকারত্বের হার ৬.৪%৷ অর্থাৎ বড় আকারে কর্মী ছাটাই হয়নি (মার্চে ছিল ৫%)৷ এতে সরকারের দেয়া প্রণোদনা অর্থ ভূমিকা রেখেছে৷
বাড়ছে প্রণোদনার চাপ
দিন দিন সরকারের প্রণোদনার সুবিধা পাওয়াদের সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে৷ যেমন, মে মাসে ৬৭ লাখ মানুষকে সরকারের ‘ফারলো স্কিমের’ আওতায় অর্থ পেয়েছেন, যেখানে এপ্রিলে এ সংখ্যা ছিল ৬১ লাখ৷