1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আবারও প্রতিবাদ বার্লিনে

২৬ অক্টোবর ২০২০

করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার রাজধানী বার্লিনে রোববার করোনা ভাইরাসের বিধিনিয়মের বিরুদ্ধে আবারও প্রতিবাদ করেছে প্রায় দুই হাজার নাগরিক৷ অনলাইনে একটি বড় স্বাস্থ্য সম্মেলন উদ্বোধনের সময়ই এই প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3kRWu
ছবি: Paul Zinken/dpa/picture alliance

বিক্ষোভকারীরা রাজধানী বার্লিনের আলেকজান্ডার প্লাৎসে করোনভাইরাস বিধিনিয়মের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ করেছে৷ প্রতিবাদ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়, জানিয়েছে পুলিশ৷ তারা এক টুইটার বার্তায় জানায়, বেশিরভাগ প্রতিবাদকারীর মুখে মাস্ক ছিল না বা তাদের মধ্যে করোনার কোন রকম বিধিনিষেধ মানতেও দেখা যায়নি৷ বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিলো প্রতিবাদের নানা প্ল্যাকার্ড৷ তাদের স্লোগান ছিলো, ‘‘আমরা মানুষ, বিধিনিয়মের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে৷’’ প্রতিবাদকারীদের মধ্যে বয়স্ক এবং শিশুরাও ছিলো৷ বিক্ষোভকারীরা মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখা অমান্য করায় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে৷ তাছাড়া পাল্টা প্রতিবাদকারীদের অনেককেই কনভেনশন সেন্টারের বাইরে কালো পোশাকে দেখা গেছে, যারা নাৎসিরা বেরিয়ে যাও বলে চিৎকার করেন৷ করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এর আগেও বার্লিনে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে৷ আগস্ট মাসের প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ৷

এর আগে প্রতিবাদকারীরা রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের একটি ভবনেও আক্রমণ করেছিলো৷ পুলিশ জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় বার্লিন চিড়িয়াখানার কাছে দশ হাজার মানুষ নিয়ে আরেকটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ করা কথা ছিল পরে পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনটি রোববার হওয়ার কথা থাকলেও রাজধানীতে সংক্রমণের হার বাড়ার কারণে পরে অনুষ্ঠানটি অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং জার্মানির রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের সদস্যদের এই সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল৷

জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে বার্লিনে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি৷ গত সাত দিনে এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১১৯.২ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ মহামারির শুরু পর থেকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত চার লাখ ২৯ হাজার ১৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন দশ হাজার ৩২ জন৷

এনএস/কেএম (ডিপিএ, ইপিডি)