1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার কারণে বাল্যবিয়ে বাড়তে পারে

১৭ মে ২০২০

করোনার কারণে আগামী দুই বছরে ৪০ লাখ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ভিশন৷ এখনই উদ্যোগ না নিলে বাল্যবিয়ে বন্ধে অতীতের সাফল্য ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

https://p.dw.com/p/3cLni
ফাইল ছবিছবি: Getty Images/A. Joyce

লকডাউনের কারণে জীবিকা কমে যাওয়ায় পরিবারের উপর নির্ভরতা কমাতে অনেকে তাদের মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিতে পারেন বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড ভিশন৷

‘‘সংঘাত, দুর্যোগ কিংবা মহামারির সময় বাল্যবিয়ের সংখ্যা বাড়ে,’’ বলে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তা এরিকা হল৷

তিনি বলেন, ‘‘এসব বিয়ে ঠেকাতে আমরা যদি এখনই কাজ শুরু না করি, তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে৷ স্বাস্থ্য সংকট শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করে থাকতে পারি না৷’’

স্কুল বন্ধ থাকা এবং করোনার কারণে বিভিন্ন সংস্থা পুরোদমে কাজ করতে পারছেনা বলে বাল্য়বিয়ের ঝুঁকি আরও বাড়ছে৷

প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়৷

ভারতে বাল্যবিবাহের শিকারদের জন্য আশা

করোনার কারণে আগামী এক দশকে অতিরিক্ত আরো এক কোটি ৩০ লাখ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতে পারে বলে গতমাসে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘ৷

বাল্যবিয়ে ঠেকাতে কাজ করা ১,৪০০-র বেশি সংস্থার বৈশ্বিক সংগঠন ‘গার্লস নট ব্রাইডস’ বলছে, তাদের সদস্য সংস্থাগুলো খুবই উদ্বিগ্ন৷

‘‘মাঠে যারা কাজ করছে তারা জানাচ্ছেন পরিস্থিতি ভালো ঠেকছে না৷ আমাদের মনে হচ্ছে আমরা সামনে অনেক বাল্যবিয়ে দেখতে পাবো,’’ জানাচ্ছেন গার্লস নট ব্রাইডসের প্রধান নির্বাহী ফেইথ মোয়াঙ্গি-পাওয়েল৷

তিনি বলেন, ‘‘ভারত, আফ্রিকা, লাতিন অ্যামেরিকা থেকে আমরা এসব শুনতে পাচ্ছি৷ কেউ বলছেন, বাল্য়বিয়ে ঠেকাতে গত কয়েক দশকে আমরা যত কাজ করেছি তা আবার ফিরে আসতে পারে৷’’

স্কুল বন্ধ থাকায় বিশেষভাবে চিন্তিত তিনি৷ ‘‘স্কুল মেয়েদের রক্ষা করে৷ স্কুল যখন বন্ধ থাকে তখন বাল্যবিয়ের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়৷’’

ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তা এরিকা হল জানিয়েছেন, সাউথ সুদান, আফগানিস্তান ও ভারতে বাল্য়বিয়ে বাড়ার প্রমাণ তারা ইতিমধ্যে পেয়েছেন৷

তিনি বলছেন, পরিবারে সন্তানের সংখ্যা কমাতে মা-বাবারা মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ ‘‘এটা আসলে বেঁচে থাকার একটা কৌশল৷ বিদ্বেষ থেকে মা-বাবারা এটা করেন না- এছাড়া আসলে তাদের আর কোনো বিকল্প নেই,’’ বলেন এরিকা হল৷

জেডএইচ/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য