করোনাকালে ‘ফ্লো মার্ক্ট’
জার্মানিতে অনেক জায়গায় সপ্তাহান্তে ‘ফ্লো মার্ক্ট’ বা পুরনো জিনিসের খোলা বাজার বসে৷ করোনার কারণে জার্মানদের পছন্দের এই মার্কেটে কী কোন পরিবর্তন এসেছে? চলুন দেখে আসি৷
ভিড় আগের মতোই
ফ্লো মার্ক্ট বা পুরনো জিনিসের খোলা বাজার৷ জার্মানিতে এসব বাজার সাধারণত সপ্তাহান্তেই হয়ে থাকে৷ রোববার প্রায় সকলের ছুটি থাকায় সেদিনই ভিড় বেশি হয়৷ সবাই যে কিছু কেনার উদ্দেশ্যে এসব বাজারে যায়, তা কিন্তু নয় ৷ পরিবারের সাথে একটু ঘোরাঘুরি করা, জিনিসপত্র দেখা আর পছন্দের কিছু পেয়ে গেলে খুব সস্তায় কিনে নেয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই মূলত যাওয়া হয় সেখানে৷
করোনায় কড়া বিধিনিষেধ
বোর্ডে লেখা সর্বোচ্চ ৭৫০ জন দর্শক ঢুকতে পারবে৷ করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ায় এই সীমাবদ্ধতা ৷ তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নীচে দাগ দেয়া আছে৷ এসব মেনে সবাই বাজারে ঢোকার লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ৷ করোনার আগে ঢোকা এবং বের হওয়ার জন্য আলাদা গেট ছিল না বা ঢোকার সময় লাইনে দাঁড়িয়ে একজন একজন করে ঢোকার নিয়ম ছিলোনা৷
নানা রকম মশলাপাতি
পুরনো জিনিসের বাজারে কাপড়, খেলনা, বই, সিডি, যন্ত্রপাতি, ফার্নিচার, কী না পাওয়া যায়! আজকাল এসব বাজারে অনেক নতুন জিনিসও থাকে৷ শিশুদের জন্য লজেন্স ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেশের রান্নার মশলা৷ হলুদ, মরিচ, আদা, জিরার গুঁড়োও পাবেন এখানে৷
এশিয়ান স্ট্রিট ফুডের দোকান
ফ্লো মার্ক্টের ভেতরে সবসময় বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকান থাকে৷ জার্মানদের কাছে চাইনিজ খাবার বেশ জনপ্রিয়৷ দেখুন, এখন করোনার ভয়ে চাইনিজ খাবারের ধারে কাছেও কেউ নেই!
বাহারি মাস্ক
নানা রং আর ডিজাইনের মাস্ক সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতা৷ তেমন বিক্রি হচ্ছে বলে মনে হয়না৷ এসব সস্তা জিনিসের খোলা বাজার বা ফ্লো মার্ক্ট কিংবা সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসের বাজার জার্মানিতে প্রথম শুরু হয় ১৯৬৭ সালের ৮ এপ্রিল, হানোফার শহরে৷ তারপর থেকে এসব বাজারে ছেলে, বুড়ো, গরিব কিংবা ধনী সকলেই যেতে পছন্দ করেন৷
বাচ্চাদের পুরনো জিনিস
শিশুরা দ্রুত বড় হয়ে যায় বলে কাপড়, খেলনা বা অন্যান্য জিনিস বেশিদিন কাজে লাগে না৷ এখানে দেখা যাচ্ছে শিশুদের ব্যবহার করা খেলনা, পুতুল, গাড়ি, বই, কত কী! অন্য শিশুদের যদি কাজে লাগে সেই আশায় দোকান সাজিয়ে বসেছেন এক মা!
কাঁচা বাজার
বিভিন্ন ফল আর নানা রকম সবজির পসরা৷ অন্যান্য জিনিসের তুলনায় এসব ফলমূল বেশ বিক্রি হয়৷ তবে যাদের বড় পরিবার, তারাই সাধারণত বেশি কেনেন এসব বাজার থেকে৷
বড়দিনের পুরনো জিনিস
বড়দিনের তো আর বেশি দেরি নেই! পুরনো জিনিস দিয়ে যদি কেউ বড়দিনে ঘর সাজাতে চান, তাহলে এখান থেকে কিছু কিনে নিতে পারেন৷
ফুলপ্রেমীরা কোথায়?
ফুলের দোকানে একদমই বিক্রি নেই, আগে কখনো এমন হয়নি, জানালেন দোকানী৷ লাভ তো কিছুই হয়নি সামান্য যা আয় হয়েছে সে টাকায় দোকানের ভাড়া দেয়াই কঠিন হবে৷
বাড়ি ফেরার আগে খাওয়া-দাওয়া
অনেকেই বাড়ি ফেরার আগে বাজারে বসে ঝলসানো মচমচে গ্রিল মুরগি খেয়ে নিচ্ছেন৷
জার্মানিতে অনেক জায়গায় সপ্তাহান্তে ‘ফ্লো মার্ক্ট’ বা পুরনো জিনিসের খোলা বাজার বসে৷ করোনার কারণে জার্মানদের পছন্দের এই মার্কেটে কী কোন পরিবর্তন এসেছে? চলুন দেখে আসি৷